তানোরে সরিষার উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষক পর্যায়ে বীজ সংরক্ষণ

এইচএম.ফারুক, তানোর (রাজশাহী)ঃ বরেন্দ্র অঞ্চল রাজশাহীর তানোরে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সরিষা ব্যাপক পরিমানে উৎপাদিত হয়েছে । উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে সরিষা চাষ করেছে কৃষকরা। সরিষার ফলন ও দাম নিয়ে চাষিদের মুখে হাসি ফিরেছে ।

উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের দমদমা গ্রামের প্রান্তিক কৃষক সঞ্জীব কুমার ভট্টাচার্য  বলেন, তানোর উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় এ মৌসুমে প্রায় ১০ একর জমিতে তেলজাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় বারি-১৪ জাতের সরিষা বপণ করি। অন্যান্য জাতের তুলনায় এ সরিষায় রোগ বালাই কম হয় এবং  প্রতি বিঘাতে ৬.৫- ৭ মন সরিষা ঘরে তুলতে পেরেছি। বারি  সরিষা ১৪ জাতের সরিষা চাষ ও তেল বীজ সংরক্ষণে  উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মইনুল ইসলাম ও মীর মোঃ সুমন রানা  সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে আগামী রবি মৌসুমে অত্র উপজেলায় সরিষার আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্থানীয় কৃষকদের মানসম্মত বীজ প্রাপ্তির সুবিধার্থে সঞ্জীব কুমার ভট্টাচার্য এ মৌসুমে ড্রামে প্রায় ৩ টন বারি সরিষা ১৪ র বীজ সংরক্ষণ করেন। এই উদ্যোগ আগামী মৌসুমে উপজেলার তেলজাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে।
এবিষয়ে, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মইনুল ইসলাম জানান, কৃষকদের বিভিন্ন ভাবে পরামর্শ দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি, এ মৌসুমে মাঠে কৃষকদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে পারায় আশানুরূপ উৎপাদন হয়েছে। তেল বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণের বিষয়ে আমরা কৃষকদের সাথে এক হয়ে কাজ করছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, উপজেলায় এই প্রথমবারের মতো ১০ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। যা ইতিপূর্বে কখনো চাষ হয়নি। গত বছর ৬ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছিল। উপজেলার পাড়া মহল্লায় সরিষা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করন, কৃষক মাঠ দিবস সহ নানা ভাবে আগ্রহ তৈরি করার কারণেই এবারে রেকর্ড ১০ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকা ও চাষীদের মাঝে সার্বক্ষণিক তদারকির কারণে ফলনও ভালো হয়েছে।
হেক্টর প্রতি ১ দশমিক ৫ মেট্রিকটন ফলন ধরা হয়েছে। সেই হিসেবে ১০ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে ১৫ হাজার ৩০০ মেট্রিকটন সরিষার তেল উৎপাদন হবে। অন্য আবাদের তুলনায় সরিষা চাষে খরচ অনেক কম। সরিষা চাষে যেমন তেলের চাহিদা পুরুন হয় ঠিক একই ভাবে গোখাদ্যের প্রধানতম খাবার খৈল তৈরি হয় এবং জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার হয়।
তিনি আসা প্রকাশ করে বলেন, আগামীতে উপজেলায় আরো বেশি পরিমাণ সরিষা চাষ হবে ও তেল বীজ সংরক্ষণে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
Comments (০)
Add Comment