সোমবার (২৯ মে) নিয়ামতপুর উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের আশোকপুর- ভালাতৈড় সড়কে তালের চারা রোপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আশির দশকে উপজেলার হাজিনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় আমি ঘুঘুডাঙ্গা রাস্তায় তালগাছ রোপণ করেছিলাম।সেই সারি সারি তালগাছ এখন বড় হয়েছে,আকাশে উঁকি মারে। দর্শনীয় স্থান হিসেবেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের নজর কেড়েছে রাস্তাটি।
তিনি বলেন, আমার দেখানো তালের চারা রোপন মডেল এখন অনেকেই অনুস্মরণ করছে। তালগাছ দেশের উপকারে আসছে দেখে আমার ভেতর ভালোলাগা কাজ করে। এসময় তিনি তালের চারা রোপণ করে তার সঠিক পরিচর্যার প্রতি নজর দেওয়ার আহবান জানান।
নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমতিয়াজ মোরশেদ, নিয়ামতপুর উপেজলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ ,নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও ভাবিচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক, কৃষি কর্মকর্তা কামরুল হাসান, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা ইয়ামিন আলী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আশোকপুর- ভালাতৈড় সড়কের দুইপাশে ৪০০ শত তালের চারা রোপন করা হবে। পরে খাদ্যমন্ত্রী নিয়ামতপুর বহুমূখি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কৃষি প্রযুক্তি মেলা ২০২৩ এর উদ্বোধন করেন এবং মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
পরে তিনি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক সমতলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যদের মাঝে ৪শ ভেড়া বিতরণ, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের সহায়তা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের হাতে ল্যাপটপ তুলে দেন।