দীঘল কালো চুলের জন্য মেনে চলুন ৭ নিয়ম

লাইফস্টাইল ডেস্ক: “চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা”। রমণীর চুলের গভীর কালো অন্ধকারকে প্রাচীন বিদিশা নগরীর সঙ্গে তুলনা করেছিলেন জীবনানন্দ দাশ। সাহিত্যে কবিতায় গল্পে উপন্যাসে নারীর চুলের বর্ণনা এসেছে নানা রূপকে নানা উপমায়। সেই দীঘল কালো চুলের যত্নে আজকাল বাজারে নানা প্রকারের প্রসাধনীর দেখা মিলে। শরতের স্নিগ্ধতা মাড়িয়ে হেমন্তের প্রথম ভাগে প্রকৃতিতে লাগছে রুক্ষতার ছোঁয়া। বর্ষা আর শরতের পাতাঝরার এই দিনগুলোতে চুলেও ময়লা জমার পরিমাণ বেড়ে যায়।

চুলের এই রুক্ষতা নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় থাকেন। কিভাবে চুল আরও ঝরঝরে রাখা যায়, কিভাবে আরও নরম কোমল ও সিল্কি থাকবে চুল এনিয়ে দৌড়ঝাঁপেরও কমতি নেই। তবে আপনি চাইলে এতকিছু না করেও খুব সহজে আপনার চুল রাখতে পারেন আকর্ষণীয়। হাস্যোজ্জ্বল। ঠিক যেন কবিতার পঙতিতে থাকা বিদিশার নেশা ছড়াতে পারেন চুলে।

কেশবতী ললনাদের জন্য চুল সুন্দর মসৃণ ঘন কালো রাখার মাত্র ৭টি টিপস নিচে তুলে ধরা হলো:

* চুলে ব্যবহার করুন ‘মাইল্ড’ শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার।

* সঠিক উপায়ে চুলে প্রসাধনী ব্যবহার করুন। আগা ফাটা সমস্যা ও ক্ষয় পূরণ করতে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। চুল আদ্র রাখতে ‘হেয়ার মাস্ক’ ব্যবহার করুন।

* চুল কুসুম গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার আর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। তাতে মাথার ত্বকের রোমকূপ উন্মুক্ত করতে সহায়তা করে। ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়ে উন্মুক্ত রোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়। আদ্রতাও বজায় থাকে।

* অতিরিক্ত তাপের কারণে চুলের ক্ষতি হয়। এজন্য চুলে তাপীয় যন্ত্র ব্যবহারের সময় ‘হিট প্রোটেক্টর’ বা চুলের সিরাম ব্যবহার করুন।

* চুল সুন্দর ও সতেজ রাখতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন। পুষ্টিকর ও ভিটামিনযুক্ত খাবার চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। নিয়মিত শরীরচর্চাও এক্ষেত্রে জরুরি।

* ঘুমোনোর সময় সিল্কের বালিশ কভার ব্যবহার করুন। কারণ সিল্কের কভার মসৃণ হয়। তাতে চুলে চাপ কম পড়ে। ফলে চুল ফাটা ও ভঙ্গুর হওয়া বন্ধ হয়।

* নিয়ম মেনে চুল শুকোতে হবে। ভেজা চুল খুব জোরে ঘরে না মুছে হালকাভাবে মুছুন। ড্রায়ার ব্যবহার করলে মাথার অন্তত ৬ ইঞ্চি দূরে থেকে ব্যবহার করুন। খেয়াল রাখুন যেন এক জায়গায় বেশিক্ষণ তাপ না লাগে।

Comments (০)
Add Comment