জানা যায়, দুর্গাপুর উপজেলার ৭নং জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এবার অন্যান্য প্রার্থীর সাথে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়েছেন মিজানুর রহমান নামের এক ব্যাক্তি। দলীয় ফোরাম ছাড়াও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কাছে বায়োডাটা দিয়েছেন তিনি। বায়োডাটাতে তিনি রেফারেন্স হিসেবে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হকের নাম উল্লেখ করেছেন। দলীয় পরিচিতি হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক, ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক দাবি করেন। এছাড়াও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর ছাড়াই একটি রেজুলেশন জমা দেয়ারও অভিযোগ উঠেছে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিজানুর রহমান নামের ওই ব্যাক্তি ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটিতেই ছিলেন না এমনকি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটিতেও নেই। তবুও তিনি নিজেকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দাবি করে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন। এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের পদে থাকা নিয়েও সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর ছাড়াই একটি ভুয়া রেজুলেশন জমা দেয়ারও অভিযোগ উঠেছে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে।
জয়নগর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শেখর আহমেদ বলেন, মিজানুর রহমান নিজেকে ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে নিজেকেই খাটো ও অসম্মানিত করেছেন। এই নামের কেউ তার সংগঠনেই নেই।
জয়নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মকছেদ আলী জানান, মিজানুর রহমান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কেউ নন। তিনি নিজেকে ভূয়া সাংগঠনিক সম্পাদক পরিচয় দিয়েছেন মনোনয়ন লাভের আশায়। দলের কেউ তাকে এই বুদ্ধি দিয়ে থাকতে পারে। তবে ইতিপূর্বে কখনোই দলীয় সাংগঠনিক কাজে অংশ নেননি মিজানুর রহমান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মনোনয়ন প্রত্যাশি মিজানুর রহমান মনোনয়ন চেয়ে ভুয়া তথ্য দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, তিনি যে পদ গুলো ব্যবহার করেছেন তার চাইতেও বেশি দলের প্রতি দায়িত্বশীল ছিলেন বিধায় দল থেকে তাকে এই পদের পরিচয় দিতে বলা হয়েছে। তবে দলের কোন পর্যায়ের নেতা তাকে এই পদবি ব্যবহার করতে বলেছেন তা তিনি জানাননি।