দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে চলছে ‘বসন্ত বিকেল’। এই সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয়েছে নবাগত চিত্রনায়িকা হুমায়রা সুবহার। অবশ্য সিনেমা মুক্তির বহু আগে থেকেই দর্শকের কাছে পরিচিত তিনি। ব্যক্তিজীবনের নানা ঘটনায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন এই নায়িকা। ‘বসন্ত বিকেল’-এর মুক্তিতে বেশ উচ্ছ্বসিত সুবহা। হলে হলে ঘুরে দর্শকের সঙ্গে সিনেমা দেখছেন তিনি। এবার প্রাক্তন প্রেমিক ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও সাবেক স্বামী গায়ক ইলিয়াস হোসাইনকে বউ-বাচ্চাসহ সিনেমাটি দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন নায়িকা। এ প্রসঙ্গে সুবহা আরটিভি নিউজকে বলেন, তাদেরকে (নাসির-ইলিয়াস) বউ-বাচ্চা নিয়ে ‘বসন্ত বিকেল’ দেখার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। ‘বসন্ত বিকেল’-এ সুবহাকে একজন আদর্শ প্রেমিকা রূপে দেখা গেছে। নিয়তির নির্মম পরিহাসে ভালোবাসার মানুষকে নিজের করে পাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি তার। প্রেমের বাঁধন ছিঁড়ে অন্যজনের গলায় মালা দিতে বাধ্য হন তিনি। পর্দার চরিত্রের সঙ্গে বাস্তব জীবনের প্রসঙ্গ টেনে নায়িকা বলেন, বাস্তব জীবনেও আমি সেক্রিফাইজ মাইন্ডের। শুধু দিয়েই গেলাম, নিতে কিছু পারিনি। এর আগে, ২০১৮ সালে সুবহার একটি ভিডিও তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। যে ভিডিওতে তিনি ক্রিকেটার নাসির হোসেনের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের ব্যাপারটি ফাঁস করেছিলেন। পরবর্তীতে গায়ক ইলিয়াস হোসাইনের সঙ্গে নায়িকার বিয়ে-বিচ্ছেদ নিয়েও বেশ জলঘোলা হয়েছে। তবে ব্যক্তিজীবনে নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে অবশেষে ক্যারিয়ারে মনোযোগ দিয়েছেন সুবহা। প্রসঙ্গত, রফিক সিকদারের পরিচালনায় ‘বসন্ত বিকেল’-এ সুবহার সঙ্গী হয়েছেন চিত্রনায়ক শিপন মিত্র। এ ছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ওমর সানী, শাহনূর, সূচরিতা, তানভীর তনু, শিবা সানুসহ অনেকেই। একটি বিশেষ চরিত্রে রয়েছেন খ্যাতিমান নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী। অতিথি চরিত্রে রয়েছেন চিত্রনায়ক আমান রেজা ও চিত্রনায়িকা তানহা তাসনিয়া।

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে তালেবান নিরাপত্তা বাহিনী রাতভর অভিযান চালিয়ে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ছয় সদস্যকে হত্যা করেছে। ছবি : সংগৃহীত

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে তালেবান নিরাপত্তা বাহিনী রাতভর অভিযান চালিয়ে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ছয় সদস্যকে হত্যা করেছে। দেশটির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীটির প্রশাসনের একজন মুখপাত্র শনিবার এসব কথা জানিয়েছেন।

মুখপাত্র কারি ইউসুফ আহমাদি জানান, গোপন আস্তানায় চালানো অভিযানে আইএসের যে সদস্যরা নিহত হয়েছে তারা গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে হওয়া বড় দুটি হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল, নগরীর এক মসজিদে ও এক নারী শিক্ষা কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছিল তারা; শিক্ষা কেন্দ্রে হামলায় বহু নারী শিক্ষার্থী নিহত হয়েছিল।

‘ওয়াজির আকবর খান মসজিদ ও কাজ ইনিস্টিটিউটে হামলাকারী তারা,’ বলেন আহমাদি। অভিযানে তালেবান নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্যও নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ওই মসজিদে ও কোচিং সেন্টারে হামলার ঘটনায় দায় স্বীকার করেনি কোনো গোষ্ঠী।

৩০ সেপ্টেম্বর কাজ ইনিস্টিটিউটের নারী শিক্ষা কেন্দ্রে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৫৩ জন নিহত হয়েছিল, নিহতদের অধিকাংশই বালিকা ও তরুণী।

এর আগে ২৩ সেপ্টেম্বর ওয়াজির আকবার খান এলাকার কাছে এক মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত সাত জন নিহত ও ৪০ জনেরও বেশি আহত হয়েছিল। ওয়াজির আকবর খান এলাকাটি কাবুলের অত্যন্ত সুরক্ষিত একটি এলাকা যা একসময় কথিত ‘গ্রিন জোনের’ অংশ ছিল এবং এখানে বিদেশি দূতাবাস ও সেনা ঘাঁটি ছিল।