২৬ মার্চ দুপুরে সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ২১/০৪/১৯৭৫ সালে ২১৪৫৯ নং দলিলমুলে রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত গয়েশ উদ্দিন তার মেয়ে আয়েশা খাতুনকে ৩৩ শতাংশ জমি রেজিষ্ট্রিকরে দেন। ওই জমিতে আয়েশা খাতুনের ভাইয়ের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা বাড়ী নির্মানের চেষ্টা করলে আয়েশা খাতুন নওগাঁ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আবেদন করলে আদালত ১৮/০৩/২০ তারিখে ১৪৪ ধারা জারী করে। আদালতের ওই ধারাকে বৃদ্ধা আঙ্গুলি দেখিয়ে বাড়ী নির্মানের কাজ অব্যাহত রেখেছেন বলে অভিযোগ করেন আয়েশা খাতুন।
তথ্য অনুসন্ধানে ও অভিযোগকারী আয়েশা খাতুন জানান, মৃত গয়েশ উদ্দিনের ছেলে ও বাদীর ভাই শফিকুল ইসলাম স্ত্রী রাজিয়া সুলতানাকে রেখে ২০০৬ সালে নিরুদ্দেশ হোন। প্রায় ১৩ বছর পর বিবাদী শফিকুলের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা স্থানীয় স্বপনকে গোপনে ২য় বিয়ে করেন, এবং আয়েশার জমিতে বাড়ী করার চেষ্টা করলে আদালতে বড় ভাই ময়েন উদ্দিনসহ ৪ জনকে আসামীকরে ৮৭/২০২০ নং মামলা দায়ের করেন। আদালত বিবাদীদের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা জারি বাদী অভিযোগ করেন। ২য় বিয়ের কথা অস্বীকার করে অভিযুক্ত রাজিয়া সুলতানা বলেন, প্রায় ১৯ বছর আগে ০৮ নং খতিয়ানে ৩১২-১৪ নং দাগে ৫৯৫২/২০০১ নম্বর দলিলমুলে জমিটি ক্রয় করেছি, আমি কারও জমি দখল করিনি, আমার জমিতেই আমি বাড়ী করছি।’
ঘটনার বিষয়ে তদন্তকারী ধামইরহাট থানা সহকারী উপ-পরিদর্শক শহীদুল্লাহ কাওছার বলেন, আমি বিজ্ঞ আদালতের ১৪৪/১৪৫ ধারার বিষয়ে ঘটনাস্থলে সরেজমিন গিয়েছি, এবং আংশিক স্থাপনা নির্মান দেখে তা বন্ধের জন্য আদালতের ১৪৪ ধারার বিষয়টি তাদের অবগত করেছি, পুনরায় নির্মান করেছে কিনা তা জানি না, যদিও ১৪৪ ধারা অমান্য করে স্থাপনা বা বাড়ী নির্মান করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।