উপজেলা প্রকৌশলী আলী হোসেন জানান, দুটি খাল পুনঃ খননে বরাদ্দ রয়েছে ৮৭ লাখ ২৩ হাজার ৪৬৮ টাকা, খাল দুটি খনন সম্পন্ন হলে কৃষি চাষাবাদ, মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধি পাবে, বিশেষ করে খরিপ মৌসুমে পানি পাওয়া যাবে, যা দিয়ে হাস পালন, সব্জি চাষ উৎপাদন বৃদ্ধি সহ কৃষকদের সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে ও তাদের জীবন যাত্রার মান বৃদ্ধি পাবে।
ধামইরহাটে নিজ বিদ্যালয়ে কোচিং করাচ্ছে প্রধান শিক্ষক, পিছিয়ে নেই সহকারী শিক্ষকরাও
ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর ধামইরহাটে নিজ বিদ্যালয়ে কোচিং করাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক নিজেই, বিদ্যালয়ের সহকারী দুই শিক্ষক মঙ্গলীয়া মোড়ে ২-৩ টি ব্যাচে শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে একই ভাবে চালান কোচিং কার্যক্রম। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ভেড়ম উচ্চ বিদ্যালয়ে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনৈক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, শিক্ষামন্ত্রী সকল স্কুল কলেজ ও কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষনা করলে সারা দেশে স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এই নির্দেশ অমান্য করে নিজ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান কোচিং করান, এমন খবরের সত্যতা জানতে ১৯ মার্চ সকাল ১০ টায় ভেড়ম উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, পরীক্ষার প্রস্তুতিমুলক পাঠদান করাচ্ছি, গতকাল পড়িয়েছি, আজও পড়াচ্ছি যেহেতু অভিযোগ হলো, আর পড়াবনা।’ সহকারী শিক্ষক (বিএসসি) মোফাজ্জল হোসেন মঙ্গলীয়া মোড়ে ২টি ব্যাচ দিয়ে কোচিং (প্রাইভেট) পড়ানোর সত্যতা স্বীকার করে প্রধান শিক্ষক বলেন, মোফাজ্জলকে যেহেতু গতকালই নিষেধ করে দিয়েছি, তাই আজ থেকে পড়ানোর কথা নয়। ঘটনা বাস্তবে দেখতে দুই সিনিয়র সাংবাদিক ভেড়ম উচ্চ বিদ্যালয়ে গেলে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের বিষয়টি দেখতে পেয়ে প্রধান শিক্ষককে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আজকে ছুটি দিন সেটা বলার জন্যই ডেকেছি। অপর শিক্ষক রুহুল আমিন নিজে থেকে প্রতিবেদককে ফোন করে কোচিং বন্ধ রেখেছেন বলে জানান।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহফুজুর রহমান বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এছাড়াও ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম করে গাছ কাটা, পরীক্ষার সময় অতিরিক্ত ফি আদায় ও অধিক মুনাফার লোভে কোচিং চালানো ও গাইড নোট ব্যবহারের অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।