জাহাজে থাকা অন্য শ্রমিকরা জানায়, মংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকায় গত ১৮ এপ্রিল বিদেশ থেকে আমদানিকৃত ১৭ হাজার ১শ’মেট্রিক টন ইউরিয়া সার নিয়ে বন্দরের পশুর চ্যানেলের ৭নং হারবাড়িয়া বহিঃনোঙ্গরে ভেড়ে বিদেশী জাহাজ ‘এমভি আতাকাম’। স্থানীয় লোকাল এজেন্ট সামুন্ডা’র অনুকুলে আসা এ সার খালাসে শ্রমিক নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স খালিদ ব্রাদার্সকে নিয়োগ করা হয়। প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা ছোট কার্গো জাহাজে বস্তা ভর্তি সার সলিংয়ের সাহায্যে খালাস করে আসছিল।
সোমবার বিকালের পালায় যাওয়া শ্রমিকরা কাজ শুরুর পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সলিং ছিড়ে সারের বস্তা ছিটকে জাহাজের নিচের হ্যাজে থাকা খামালী শ্রমিক হেলালের মাথায় আঘাত হানে। ঘটনাস্থল থেকে গুরুত্বর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাত সাড়ে ৮ টায় লোকালয়ে আনার পথে তার মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। তবে সারের যে ডাবল সিলিংয়ে (২০+২০) ৪০টি বস্তা বোঝাই’র নিয়ম থাকলেও কোম্পানীর সার্থে তারা (৩৬+৩৬) ৭২াট বস্তা বোঝাই করে। এছাড়াও আবার কোন কোন সময় তারা ৮০টি বস্তাও সিলিংয়ে বোঝাই করতে বাধ্য হয় শ্রমিকরা।
সোমবার রাতের পালায় সলিংয়ের ধারনক্ষমতার অতিরিক্ত সারের বস্তা বোঝাইয়ের কারনেই এটা ছিড়ে শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শ্রমিক নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স খালিদ ব্রাদার্সের স্থানীয় ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম জানান,নদীর উত্তাল ঢেউ ও বৈরি আবহাওয়ার মধ্যেও মৃত শ্রমিকের মরদেহ যতদ্রুত সম্ভব তারা জাহাজ থেকে নিয়ে আসার চেস্টা করছেন। রাতেই মরদেহবাহী ট্রলার মংলা শ্রমিক জেটিতে আনা হবে। আর এখান থেকে প্রাথমিক প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। মৃত খামালী শ্রমিক হেলাল পৌর শহরের বালুর মাঠ শ্রমিক আবাসিক এলাকার নূরু মিস্ত্রী’র পূত্র বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে মংলা থানার অফিসাসর ইনচার্জ মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, তিনি দূর্ঘটনার খবর শুনেছেন। তবে মৃত্যু শ্রমিকের মরদেহ মংলার লোকালয় আসার পর পুরো ঘটনা নিশ্চিত হওয়া যাবে। আর এর পর পরবর্তী করনীয় বিষয় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।