নওগাঁয় আমন ধানের বাম্পার ফলন, দাম নিয়ে শঙ্কায় কৃষক

বুুলবুল চৌধুরী, নওগাঁ : দেশের খাদ্য ভান্ডার বলে পরিচিত উত্তরের নওগাঁ জেলার পতœীতলা উপজেলায় রোপা-আমন ধান কাটা-মাড়াইয়ের ধুম পড়েছে। উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন সহ পৌর এলাকায় চলতি আমন মৌশুমে ২৭ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের একান্ত সহযোগীতায় এবার  আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশাবাদী অত্রাঞ্চলের কৃষকরা। অত্রাঞ্চলের কৃষকরা পুরোদমে মাঠে আমন ধান কাটা শুরু করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কৃষকরা কেউ একা বা কেউ দলবদ্ধভাবে মাঠে ধান কাটছেন। এবারে বাম্পার ফলনের আশাবাদী অত্রাঞ্চলের কৃষকরা। তবে ধানের বর্তমান বাজার মূল্য নিয়ে তাঁরা সংশয় প্রকাশ করেছেন।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কৃষকরা কেউ একা বা কেউ দলবদ্ধভাবে মাঠে ধান কাটছেন। এ বছর  সুমন স্বর্ণা ধান বিঘা প্রতি ১৫/১৬ মণ হারে আবাদ হয়েছে। এই ধান ঘরে তোলার পর একই জমিতে তারা সরিষা, আলু সহ অন্যান্য রবি শষ্য লাগাতে শুরু করেছেন। তবে এবারে কৃষকরা আমনের বাম্পার ফলনের আশাবাদী হলেও ধানের বাজারদর নিয়ে তারা কিছুটা সংশয় প্রকাশ করেছেন।
এব্যাপারে উপজেলার গাহন গ্রামের কৃষক হাফিজুর রহমান, আকাই মন্ডল, মজিদ, জাহিদুল সহ আরো অনেকে জানান সুমন স্বর্ণা ধান বর্তমানে বাজারে ৭শ থেকে ৭৫০ টাকা মণ হিসাবে বিক্রয় হচ্ছে। তবে বাজারে ধানের আমদানি বৃদ্ধি পেলে বর্তমান দাম আরো কমতে পারে বলেও তারা মনে করেন। তারা বলেন, এবারে ধানের বাম্পার ফলন হলেও উৎপাদন খরচ তুলতে প্রতিমণ ধান নূন্যতম  ৮শ থেকে ৮৫০টাকা হলে তাদের জন্য ভালো হতো।
পতœীতলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রকাশ চন্দ্র সরকার জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২৭ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হলেও এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে তার ধারনা। পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করার ফলে এবারে অত্রাঞ্চলের কৃষকদের উৎপাদন খরচ অনেকাংশ কমে গেছে। পাশাপাশি বিষমুক্ত খাদ্য নিশ্চিত করা যাচ্ছে।

Comments (০)
Add Comment