সাপাহারে আনন্দ-নিরানন্দে জমে উঠেছে ঈদ বাজার!

মনিরুল ইসলাম, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতরের আরো কয়েকদিন বাঁকী থাকলেও নওগাঁর সাপাহারে আনন্দ-নিরানন্দে জমে উঠেছে ঈদের বাজার। বিভিন্ন দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে করোনাকালীন সময়ে স্বল্পমূল্যে কেনাকাটা করতে সরকারী মার্কেট কাপড়ের শেডগুলোতে ব্যাপক ভীড় করছেন ক্রেতারা। এছাড়াও বিভিন্ন মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফুর্ত কেনাকাটা লক্ষ্য করা গেছে।

 

শনিবারে উপজেলা সদরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মার্কেট, নিউ মার্কেট, লাবনী সুপার মার্কেট গুলোতে ঘুরে দেখা যায়, সব শ্রেনীর মানুষ নিজেকে সাজিয়ে ঈদ আনন্দ উদযাপন করার জন্য সামর্থ্য অনুযায়ী কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কেউ কিনছেন নিজের জন্য আবার কেউবা আত্মীয় স্বজন বা প্রিয়জনের জন্য। এবারের ঈদের কেনাকাটায় মার্কেটগুলোতে মেয়েদের উপস্থিতি বেশিরভাগ লক্ষ্য করা গেছে।

 

চলতি ঈদ বাজারে দোকান গুলো সাজিয়েছে বাহারী কাপড়-চোপড় সহ চোখ ধাঁধানো সব আকর্ষনীয় সংগ্রহে। যাতে করে ক্রেতাদের চোখে পড়ে এসব বাহারী সংগ্রহ। এসব সংগ্রহের মধ্যে রয়েছে মেয়ে ও ছেলেদের আধুনিক সজ্জার দেশী বিদেশী সব সমাহার। বিশেষ করে তরুণ-তরুণী ও বাচ্চাদের নানাবিধ সব সংগ্রহ শোভা পাচ্ছে দোকানগুলোতে।

 

একাধিক দোকানদারের সাথে কথা হলে তারা জানান, গত বছরে ঈদে করোনা ও লকডাউনের জন্য দোকান পুরোপুরি বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এ বছরেও করোনার প্রভাব থাকার পরেও লকডাউন শিথিল থাকায় বেচা-কেনা মোটামোটি ভালো। আশানুরূপ ভাবেই বেঁচা-কেনা করতে পারছেন বলে জানান আরো অনেকে। নিউ মার্কেটে কেনা-কাটা করতে আসা কয়েকজন ক্রেতার সাথে কথা হলে তারা জানান, চলতি মৌসুমে যথাসয়ে ধান ওঠার ফলে এবং ভালো দাম পাওয়ায় ঈদের বাজার করতে অনেকটা স্বস্তি পাচ্ছেন তারা।

 

সরকারী মার্কেটে শপিং করতে আসা ক্রেতাদের সাথে কথা হলে তারা জানান, লকডাউনে অনেকটাই কর্মহীন হয়ে পড়ায় অনেকটা অস্বচ্ছলতার সাথে সময় পার করতে হচ্ছে। কিন্তু ছেলে মেয়েদের নতুন জামা কাপড় কিনে দিতে হবে। নাহল তারা মন খারাপ করবে । এজন্য বাড়ীর কিছু গৃহপালিত পশু বা গচ্ছিত টাকা পয়সা দিয়ে তাদের বাজার থেকে নতুন জামা কাপড় কিনে দিচ্ছে। শুধু কাপড়ের দোকানে নয় বরং কসমেটিক্স , জুতা ও মুদি দোকান গুলোতেও সেমাই-চিনি সহ ক্রেতারা ভীড় করছেন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র কেনা কাটার জন্য।

 

সব মিলিয়ে বৈশ্বিক মহামারী করোনাকালীন এ বছরের ঈদ আনন্দ নিরানন্দ মিশ্রিত কাটবে বলে জানান অনেকেই।

 

Comments (০)
Add Comment