মামলার এজাহার সুত্র মতে, ২০১৮ সালের ৭ মার্চ বিকেলে ভাড়ায় যাত্রী বহন করতে বাড়ি থেকে বের হয় শান্ত। রাত ১২ টা পার হলেও বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুজি শুরু করে পরবিারের সদস্যরা। এসময় স্থানিয়রা তাদের জানায় সন্ধ্যার দিকে শান্তর ভ্যানে আব্দুর রশিদকে সদর উপজেলার ছাতনী গ্রামের দিকে যেতে দেখা গেছে।
পরের দিন রাতে সদর উপজেলার মাঝদিঘা গ্রামের ভতুয়া বিলের পার্শে ভ্যান গাড়িসহ রক্তাক্ত জখম শান্তর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। মরদেহের পাশ থেকে কারাদন্ড প্রাপ্ত রশিদের শ্বশুরের পরিচয় পত্র পাওয়া যায়। এঘটনায় শান্তর বাবা জয়নাল ফকির বাদি হয়ে অজ্ঞাত ২/৩ জনের নামে নলডাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরের দিন পুলিশ অভিযান চালিয়ে আব্দুর রশিদকে আটক করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী সহ আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
নাটোর জজ কোর্টের সরকারী কৌশুলি সিরাজুল ইসলাম বলেন, এমামলার স্বাক্ষ্য প্রমান শেষে আজ বিচারক আব্দুর রশিদের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। সেই সাথে আব্দুল কাউয়ুম নামে অপর আসামিকে খালাস দেন আদালত।