পরে এই সম্প্রদায়ের পুরোহিত সেখানে পুজা-অর্চনাশেষে ওই স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দেন। স্থাপনায় দাউদাউ করে আগুন ধরে গেলে সেখানে উপস্থিত সকলে ওই স্থাপনাকে লক্ষ্য করে মাটির ঢিল নিক্ষেপ করতে থাকেন। পরে সেখানে উপস্থিত সকলে একে অপরকে আবির ও রং মাখিয়ে আনন্দে মেতে উঠেন। এছাড়া উৎসবের অংশ হিসেবে তরুণরা ‘বুন্দিয়া খেলা’য় (কেরোসিন মাখানো কাপড়ের বল বানিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে শূণ্যে ছুড়োছুড়ি খেলা) মেতে উঠে।
জাতীয় আদিবাসী পরিষদ নাটোর জেলার শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক কালিদাস রায় জানান, আদিবাসীদের অনেক ধর্মীয় ও সামাজিক রীতি নীতি হারিয়ে যাচ্ছে। এই ধরণের উৎসব পালন আদিবাসীদের সংস্কৃতি ও ঔতিহ্য ধারণের চেতনাকে আরো মজবুত করে।