নাটোর জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম সিরাজ জানান, ঘটনার প্রায় ২০ বছর পূর্বে শাহীন হোসেনের সাথে তাইফুল বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে জানতে পাওয়া যায় শাহীন হোসেনের নিজের কোন ঘর বাড়ী নাই। পরে শ্বশুরের বসত ভিটায় ঘর করে দেন শ্বশুড়। এরপর থেকে তারা সেখানেই বসবাস করতেন।
বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ শুরু হয়। এ নিয়ে শাহীন হোসেন তার স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করত। এরই এক পর্যায়ে ২০১৮ সালের ২০ এপ্রিল স্ত্রীকে মারধর করে ঘুমের ঔষধ খাওয়ায় স্বামী শাহীন হোসেন।
পরে স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়লে মুখে বালি চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে শাহীন। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ঘরের কোনায় গর্ত খুড়ে মাঝ রাতে আত্ম¡ীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীকে ডাকাডাকি করে বলে কে বা কারা শিধ কেটে ঘরে ঢুকে তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে।
বিষয়টি এলাকাসীর সন্দেহ হলে তারা শাহীন হোসেনকে আটক করে জিঞ্জাসাবাদ করলে শাহীন হোসেন তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার ও শাহীন হোসেনকে আটক করে।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই জামাল হোসেন বাদী হয়ে শাহীন হোসেনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৫ বছর মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষনার সময় আসামী শাহীন হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।