সরোজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলা সদরের কাঁচা বাজারে অবস্থিত কৃষি বিপণন কেন্দ্রের নিচ তলায় বেশ কয়েকজন খামারি তাদের খামারের গরুর দুধ নিয়ে বিক্রি করতে এসেছেন। তাঁদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন দুপুরের পর থেকে তারা এখানে দুধ দিয়ে আসেন। প্রতি লিটার দুধ ৭০ টাকা হিসেবে বিক্রি করেন। বাজার চালুর পর থেকে কোনদিন দুধ তাদের ফেরত নিয়ে যেতে হয়নি। এতে খামারিরা যেমন লাভবান হচ্ছে তেমনি স্হানীয়রা সহজেই দুধ কিনতে পারছেন বলে জানা গেছে।
দুধ ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম বলেন, তরল দুধের বাজার চালু করায় দুধ বিক্রি করতে অনেক সুবিধা হয়েছে। প্রতিদিন দুধ বিক্রি করতে আর কোন সমস্যা হচ্ছে না। স্হানীয় ক্রেতা হাবিবুর রহমান বলেন, এ দুধ বাজার চালু হওয়ার আগে দুধ বিভিন্ন মানুষের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে হতো। এখন বাড়ির কাছে বাজার তৈরি হওয়ায় সহজেই দুধ সংগ্রহ করতে পারছি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আঃ লতিফ বলেন, উপজেলায় তরল দুধের বাজার ইতিপূর্বে ছিল না। এ চালুর উদ্দেশ্যই হচ্ছে খামারি ও ভোক্তার মধ্যে ব্যবধান কমানো। কেউ যেন সিন্ডিকেটের মধ্যে না পড়ে। দুধের বাজার ঘিরে ভবিষ্যতে আরও বড় পরিকল্পনা করা হচ্ছে।