নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশকে যেসব বার্তা দিতে পারে ভারত

ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি-২০ ইভেন্টে যোগ দেওয়ার জন্য আগামী মাসে ভারত সফরে যাবেন। এ সময় শেখ হাসিনাকে দুটি স্পষ্ট বার্তা দিতে পারে ভারত।

সোমবার (২১ আগস্ট) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, আগামী মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লি সফর গেলে ভারত তাকে দুটি স্পষ্ট বার্তা দিতে পারে। যার প্রথম বার্তাটি হচ্ছে- বাংলাদেশে আসন্ন সাধারণ নির্বাচন অবশ্যই অবাধ ও সুষ্ঠু হতে হবে। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে- সকল চীনপন্থী ও ইসলামপন্থী নেতাকে ঝেড়ে ফেলতে হবে ও নির্বাচনে অসাম্প্রদায়িক এবং জনপ্রিয় প্রার্থীদের বেছে নিতে হবে আওয়ামী লীগকে।

ভারতের নিরাপত্তা সংস্থার (সিকিউরিটি এস্টাবলিশমেন্ট) একটি সূত্র জোড়া এ বার্তার বিষয়টি জানিয়েছে।

২০১৪ এবং ২০১৮ সালের শেষ দুটি জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মানদণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো সন্দেহ পোষণ করেছিল। যদিও বাংলাদেশে নির্বাচন অবাধ এবং সুষ্ঠু হয়েছে বলে শেখ হাসিনা দাবি করে আসছেন। তবে, এ নির্বাচনগুলো নিয়ে সামনে আসা অভিযোগ সম্পর্কে কখনও কোনো প্রশ্ন তোলেনি নয়াদিল্লি।

২০১৮ সালের বিতর্কিত সেই নির্বাচনে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন জোট ৯৬ শতাংশের বেশি আসন পাওয়ায় নরেন্দ্র মোদিই প্রথম শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।

বাংলাদেশের নির্বাচন কতটা অবাধ ও সুষ্ঠু হচ্ছে তা নিয়ে ভারত ততক্ষণ চিন্তা করবে না যতক্ষণ ফলাফল হাসিনার পক্ষে থাকে। মূলত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিজের প্রতিবেশীদের মধ্যে সবসময়ই সবচেয়ে বিশ্বস্ত মিত্র হিসেবে নয়াদিল্লি বিবেচনা করে থাকে বলে দাবি সংবাদমাধ্যমটির।

জঙ্গিদের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন চালানো, উত্তর-পূর্ব ভারতীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য চলাচলের অনুমতি দেওয়াসহ ভারতের অনেক ইচ্ছাই আওয়ামী লীগ সরকার পূরণ করেছে। তারপরও চীনের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের নৈকট্য নয়াদিল্লির জন্য প্রাথমিক উদ্বেগ হিসেবে দেখা দিয়েছে। তাই, বাংলাদেশের দ্বাদশ নির্বাচন নিয়ে এই ব্যাপারটি ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রকে একই অবস্থানে নিয়ে এসেছে বলে টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

Comments (০)
Add Comment