নিষেধাজ্ঞা অমান্য, মাঝনদীতে কোয়ারেনটাইনে সুন্দরবন-১৪’ লঞ্চের ৩৬ স্টাফ

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে নৌযান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ঢাকা থেকে পটুয়াখালীগামী বিলাসবহুল ‘সুন্দরবন-১৪’ লঞ্চের সুপারভাইজার ইউনুস, মাস্টার, সুকানিসহ ৩৬ জন স্টাফকে মাঝনদীতে ১৪ দিনের কোয়ারেনটাইনে থাকার আদেশে দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) রাত সোয়া ১১টার দিকে পটুয়াখালী লঞ্চ টার্মিনালের পূর্ব প্রান্তে নদীর মাঝে নোঙ্গররত অবস্থায় লঞ্চটিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ আদেশ দেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিত রায় ও গোলাম সরওয়ার।

অভিযান চলাকালে লঞ্চটিতে কোনও যাত্রী পাওয়া যায়নি। আগামী ১৪ দিন লঞ্চটিকে মাঝনদীতে ভাসমান অবস্থায় রাখার আদেশ দেয়া হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিত রায় গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরীর নির্দেশে রাতে লঞ্চঘাটে অভিযান পরিচালনা করার সময় ঘাট সংলগ্ন মাঝনদীতে নোঙর করা আলোবাকি বন্ধ করা সুন্দরবর-১৪ লঞ্চটি চোখে পড়ে। এরপরই ট্রলার নিয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

লঞ্চটি বিনা অনুমতিতে ও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সকালে ঢাকা থেকে পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

ইতোমধ্যে আইইডিসিআর-এর নির্দেশ মতো ওই লঞ্চের ঢাকাফেরত সব যাত্রীকে কোয়ারেনটাইনে রাখার বাধ্যবাধকতা থাকায় লঞ্চটির স্টাফদেরও ১৪ দিন মাঝনদীতে কোয়ারেনটাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান ম্যাজিস্ট্রেট অমিত রায়।

Comments (০)
Add Comment