গত ১৭ জুন বৃহস্পতিবার ভারি বৃষ্টির কারণে ভেঙে যায় তপনের ঘর। মাটির ঘরের পিছনের দেওয়াল ধ¦সে পড়ে। তার পর ভাঙ্গা মাটির দেওয়ালে পলিথিন টানিয়ে তপন কোন রকমে বসবাস করছে। তপন তার পাঁচ সদস্যর পরিবার নিয়ে ঘরের এক পাশের দেওয়াল ছাড়া জীবন যাপন করছিল অতিকষ্টে।
গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষনে তপনের ঘরের আর এক পাশের দেওয়াল আবারো ধ্বসে পড়েছে। গত বৃহস্পতিবার তপনের ঘরের আরেকটি দেওয়াল ধ্বসে পড়ে, যার ফলে তপনের পরিবার সেই ভাংগা ঘরের পলিথিন দিয়ে ঘিরে ঝুঁকি নিয়ে দুই সন্তান তপনের মা ও তপন সহ স্ত্রী সহ তিনি চরম ঝুঁকি নিয়ে ভাংগা ঘরে বসাবস করছেন।
তপন পেশায় একজন নাপিত। তার সামান্য আয়ের উপর নির্ভর করে চলে তার সংসার।তার বৃদ্ধ মা ও তার মেয়ের চিকিৎসার জন্য রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় তাকে। তার মাটির দেওয়ালের ঘর বার বার ভেঙ্গে পড়া এ যেন মরার উপর খাঁড়ার “ঘা”। হত দরিদ্র তপন বিশ্বাস বলেন, তার প্রায় দুই শতক জমি। তার উপরে কোন রকমে ঘর তৈরী করে পরিবারের ৫ সদস্য নিয়ে বসবাস করছে।
অতি বৃষ্টিতে ঘরের দেওয়াল ভেঙ্গে পড়ায় মেরামত করার মত অর্থ তার কাছে নেই। লকডাউনে সেলুনির কাজ করতে না পারায় সংসার ঠিকমত চলছে না। তাই সে স্থানীয় প্রশাসন বা কোন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহযোগিতা কামনা করেছে।
এ ব্যাপারে রাড়–লী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য রনজিত কুমার দাশ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সরকারি সহায়তা তপনকে দেওয়া হচ্ছে। তপন একজন হত দরিদ্র মানুষ । তার ভেঙ্গ পড়া ঘর মেরামত করার মত সমর্থ তার নেই । ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন রকম সহায়তা করা যায় কিনা তার চেষ্টা করা হচ্ছে।