পাইকগাছায় মালোপাড়া ” টক অব দ্যা টাউন”

পাইকগাছা(খুলনা) প্রতিনিধি: পাইকগাছার বোয়ালিয়া মালোপাড়ায় প্রতিপক্ষের চলাচল পথে রাখা সমুদ্রে জালধরা সরঞ্জামাদিতে অগ্নিসংযোগে ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে।একের পর এক অঘটন ঘটতে ঘটতে সর্বশেষ অগ্নিসংযোগের ঘটনা মালোপাড়া টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সার্বজনীন মন্দির ও রামপদ বিশ্বাসের রান্না ঘর সংলগ্ন স্থানে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ।ঐ রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা পুলিশ এখনো নিশ্চিত হতে না পারলেও অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছে। তবে রাস্তার বিরোধে বিবাদমান দু’পক্ষের মধ্যে মহিতোষ-মাধবী দিংরা এ ঘটনার জন্য প্রতিপক্ষ জগদীশ- বিষ্ণুপদ দিংদের নামে থানায় অভিযোগ করেছেন উজ্জ্বল বিশ্বাস।

 

এদিকে বিষ্ণুপদ- কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন,মহিতোষ উজ্জল গংরা রাস্তা বন্ধ করেছে মালামাল রেখে আর ঐ মালামালে তারা আগুন দিয়ে আমাদের ফাসানোর অপচেস্টা করছে। তবে একের পর এক জিডি ও হামলা-মামলার ঘটনায় এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষ এমনকি স্থানীয় প্রসাশনও অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

সরেজমিনে জানাগেছে হিতামপুর গ্রামের বিষ্ণুপদ- কৃষ্ণ বিশ্বাসদের বাড়ির উঠানের উপর দিয়ে উজ্জল- মাধবী পরিবারের চলাচল বন্ধ করে দিলে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। এর পর থেকে শুরু হয় জিডি হামলা-মামলা ঘটনা বাড়তে থাকে। বিষ্ণুপদ বিশ্বাসদের বাড়ির উঠানের উপর দিয়ে জোর পূর্বক যাতায়াতের পথ নিয়ে প্রতিবেশী মহিতোষ ও উজ্জ্বল বিশ্বাসদের ৭ মাস ধরে বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে দুটি পক্ষ মামলায় জড়িয়ে পড়ে। কৃষ্ণপদ বিশ্বাস পাইকগাছা সিনিয়র সহকরী জজ আদালতে মামলা করে।

 

এ মামলায় বিজ্ঞ বিচারক প্রতিপক্ষ মহিতোষদের বিরুদ্ধে অর্ন্তর্বতীকালীন নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। এছাড়া নির্বাহী আদালত থেকে ১৪৪ ধারার মামলায় বাদী বিষ্ণুপদ বিশ্বাস দখল ভিত্তিক স্থিতি অবস্থার আদেশ প্রাপ্ত হন। এর মধ্যে প্রায় ১ মাস আগে বিষ্ণুপদদের যাতায়াতের পথে মাথায় ও শীতলা মন্দিরের পাশে সমুদ্র থেকে ফিরে এসে কাঠ, বাঁশ লোহার গ্রাফি সহ জিনিসপত্র রেখে পথটি বন্ধ করে দেয়।

 

এ কারণেবিষ্ণু, কৃষ্ণ ও জগদীশদের ৩টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এদিকে চলাচল পথ সুগম করতে না পেরে উজ্জ্বল ও তার সমর্থকরা চলতি মাসে কৃষ্ণ-বিষ্ণুপদ পরিবারের (মন্দির ঘেষা পানির ফিল্টার ও রামপদ বিশ্বাসের রান্না ঘর ঘেষা স্থানে) চলাচল পথ বন্ধ করে দিলে বিরোধের মাত্রা আরো বেড়ে যায়।

 

শেষ পর্যন্ত বিষয়টি উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উর্থাপন হলে চলতি মাসে এমপির প্রতিনিধি দল,ইউএনও,ওসি, স্থানীয চেয়ারম্যান ও পুজা পরিষদ নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে পৌছে দু’পক্ষকে নিয়ে মিমাংশার চেষ্টা করলেও তা ফলপ্রুস হয়নি। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আগ্নিকান্ডের ঘটনায় ত্রাসের সৃষ্টি হয়।

 

এক পর্যায়ে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে পানি-বালি নিক্ষেপ করে আগুন নিয়ন্ত্রন করে। আগুনে সমুদ্রে মাছধরা সরঞ্জামাদি পুড়ে ক্ষয়-ক্ষতির ঘটনায় উজ্জ্বল বিশ্বাস শুক্রবার প্রতিপক্ষ কৃষ্ণ-বিষ্ণপদ, সুশান্ত বিশ্বাস দিংদের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দাখিল করেছেন।

 

এ প্রসঙ্গে ইন্সপেক্টর ( তদন্ত) মোল্লা খালিদ হোসেন বলেন, ঘটনার পর আমি দু’দফা ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেছি।, কেউ না কেউ বা তৃতীয় পক্ষই আগ্নিসংযোগ সমুদ্রে মাছ ধরা জাল-দড়ি,ড্রাম সহ অন্যন্য সম্পদের ক্ষতিসাধন করেছেন। যা পরবর্তী তদন্তে আরোও পরিস্কার হওয়া যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

 

 

Comments (০)
Add Comment