পাবনায় শিশুদের পার্কটি এখন মাদকাসক্তদের দখলে

আটঘরিয়া প্রতিনিধি:ঐতিহ্যবাহী জেলা শহর পাবনাতে প্রায় দু’দশক আগে শিশুদের বিনোদনের জন্য নির্মিত শেখ রাসেল পার্কটি এখন মাদকাসক্তদের দখলে। অথচ পৌরশহরে একমাত্র শিশু বিনোদনের স্থান হওয়ায় শুরুতে দর্শনার্থী ও অভিভাবকদের উপস্থিতিতে মুখরিত থাকত পুরো পার্ক এলাকা। এমনকি ছুটির দিনে জায়গার সঙ্কুলান পর্যন্ত হতো না। তবে সেই প্রাণচঞ্চলতা আর উচ্ছ্বাস এখন গল্পে পরিণত হয়েছে।
জানা যায়, স্থানীয় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মুখে ছোট পরিসরে যাত্রা শুরু হয় শেখ রাসেল শিশুপার্কের।
পরে বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শহীদ শেখ রাসেলের স্মৃতি স্মরণে পার্কের নামকরণ করা হয়। বর্তমানে পার্কে দর্শনার্থীরা আসে না বললেই চলে।
করোনার সময় থেকে একদম বন্ধ রয়েছে পার্কের সব কার্যক্রম। দুটি রাইড, একটি খাবারের দোকান আর স্বল্প কিছু দোলনা দিয়ে কোনোরকমে পার্কের কার্যক্রম চালু থাকলেও এখন সেটি আর নেই। অযত্ন
 আর অবহেলায় রইডগুলো ভেঙে গেছে। পার্কের বেশিরভাগ অংশ ময়লা, ঘাস আর জঙ্গলে ছেয়ে গেছে। দিনের বেলাতে নিকটস্থ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কিছু শিক্ষার্থী বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঘুরতে এলেও রাতে মাদকাসক্তদের বসার স্থানে পরিণত হয়েছে এই পার্ক।
পার্কে ঘুরতে আসা একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কাছাকাছি হওয়ার কারণে আমরা এখানে বন্ধুবান্ধব সবাই ঘুরতে আসি। কিন্তু পার্কে কোনো কিছুই নেই। ময়লা, নোংরা ঘাস ও জঙ্গলে ছেয়ে গেছে।
বসার স্থানগুলো ভেঙে গেছে। রাইডগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। পার্কের কোনো দায়িত্বশীল মানুষ নেই। বাজে বখাটেরা নেশা করে। স্বল্প সময়ের জন্য আসি আবার চলে যাই। আমাদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই তাই পার্কটি সংস্কার করা খুব দরকার।
বন্ধ হওয়া পার্ক নিয়ে পাবনা জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন বলেন, আগে এই পার্কটি জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে ছিল। পরবর্তী সময়ে জেলা প্রশাসন দায়িত্ব নিয়েছে।
তৎকালীন জেলা প্রশাসক উদ্যোগ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ সন্তান ও বর্তমান আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ছোট ভাই আমাদের সবার প্রিয় শহীদ শেখ রাসেলের স্মৃতি স্মরণে এই পার্কের নামকরণ করা হয়।
পার্কের বরাদ্দ নিয়ে ঝামেলা ছিল। সেটি আগের জেলা প্রশাসক সমাধান করে গেছেন। এখন পার্কটি নতুন করে সংস্কার করে চালু করতে হবে। বাজেট এলে সংস্কার করে লিজ দেওয়া হবে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত পার্কটিকে আধুনিকায়ন করে সংস্কার করার। যাতে শিশুরা কিছুটা হলেও বিনোদন পায়।