এলাকাবাসীর অভিযোগ, রবিবার সকাল থেকে পুঠিয়ার বারইপাড়া নজরুল ইসলাম নজুর পুকুরে সাইড ওয়াল নির্মানে নিম্নমানের ৩ নং ইট ব্যবহার করে কাজ করছিলো। কিন্তু উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের কেউ কাজের স্থানে উপস্থিত ছিলো না। সেই সুযোগে বাঘা উপজেলার ঠিকাদার রিপন তার লোকজনকে দিয়ে নিম্ন মানের ইট ব্যবহার করে কাজ করে আসছিলো।
কাজের শেষ পর্যায়ে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে পিকেট তেরা বেকা ইট দিয়ে কাজ করছিলো এবং নিচে যে পরিমাণ ১৫ ইঞ্চি ইট গাথার কথা তা না করে কোন রকম তারা হুরা করে অনিয়েমের মাধ্যমে কাজ করছিলো। প্রতিবাদ করায় পরবর্তীতে আবার নিচে ৫ ইঞ্চি ইট গেথে দেয় ঠিকাদারের লোকজন।
পুঠিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ খাঁন ঝন্টু বলেন, আমি সকালে কাজের স্থানে গিয়ে দেখি নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ করছে। তখন উপজেলা প্রকৌশলীকে ফোন দিয়ে বলি। সেখানে এসও উপস্থিতিতে নিম্নমানের ইট দিয়ে গাথাঁ ওয়াল ভেঙ্গে ভাল ১ নং ইট দিয়ে কাজ করার কথা।
সাব ঠিকাদার বাঘার রিপোন জানান, খরাপ ইট বাদ দিয়ে ভালো ইট দিয়ে কাজ করার জন্য আমি বলে এসেছি এবং বর্তমানে ভালো ইট দিয়ে কাজ চলছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গ্রীণ এন্টার প্রাইজের মালিক খালেদ সাইফুল্লা কোন যোগাগের মাধ্যম না পাওয়ায় মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উপজেলা প্রকৌশলী পারভেজ নেওয়াজ খান জানান, অমি অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় এবং নিম্নমানের ইট সরিয়ে ভালো ইট দিয়ে কাজ করার নিদের্শ প্রদান করি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ, কে, এম নূর হোসেন নির্ঝর জানান, নিম্নমানের কাজ হলে দুঃখ জনক ব্যাপার। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো।
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যন জি.এম হিরা জানান, খারাপ কাজ আমরা কখনোই সমর্থন করিনা। অবশ্যই ভালো মানের কাজ হতে হবে।