ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার ভালুকগাছি ইউনিয়নের বেলনাতলা আশ্রয়ন প্রকল্পে ৮টি বাড়ী বরাদ্দ হয়। বাড়ীগুলো বরাদ্দ পায় আহম্মেদ শেখ, রোকেয়া, সকিনা, মর্জিনা, ভানু, তপু, মজনু এবং ছবেদা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের পর ৬ জন সেই বাড়ীতে বসবাস করেন। আর দুই জন তপু এবং মজনু এই দুই জন তাদের নামে বরাদ্দকৃত বাড়ীতে থাকেন না।
তপু, মজনু এবং ছবেদা’র ঘরের বারান্দা মাটিতে বসে গিয়ে চারো ধারে ফাটল দেখা দিয়েছে। এছাড়া বেশির ভাগ ঘরে দেওয়ালে এবং মেঝেতে ফাটল দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে ছবেদার রান্না ঘরের মেঝে ভেঙ্গে বসে গেছে। ঝুকিপূর্ন অবস্থায় সেই ঘরে তারা বসবাস করছে। সেই ভাঙ্গা স্থানে দেখে ও জানা যায় উপরে ঢালায়, তারপর সিমেন্টের বস্তা পাড়া, তারপর বালি, বালির নিচে মাটি সেখানে কোন প্রকার ইট ব্যবহার করা হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা।
ভালুকগাছী ইউপি সদস্য বেলাল হোসেন এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি।
ভালুকগাছী ইউপি চেয়ারম্যান তাকবীর হাসান জানান, সেই বাড়ী গুলো উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পিআইও অফিস ঠিকদারকে দিয়ে করিয়েছে। তবে ফটলের বিষয়টি অপ্রত্যাশিত। স্বল্প সময়ের মধ্যে করার কারণে হতে পারে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ ফরিদুল ইসলাম জানান, ঘরের ও বারান্দার মাঝেতে ইট ব্যবহার না কারায় ফাটল কথাটি সঠিক নয়। আর পানি নিস্কাসনের ব্যবস্থা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ এর সরকারী মোবাইল ফোনে বিকেল ৪ টা ২৩ মিনিটে ফোন করলে তিনি ফোন রিসির্ভ করেননি।