পেন্টাগনের চেয়েও বড় অফিস এখন ভারতে

সুরাট ডায়মন্ড বোর্স (ছবি : সংগৃহীত)

হীরা কেনাবেচার জন্য অতিপরিচিত এক শহর বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়ার্প। তবে বিশ্বের ৯০ শতাংশ হীরা কাটা যে ভারতের সুরাটে হয়, এ খবর অনেকের কাছেই অজানা। হীরা নিয়ে এবার নতুন করে আলোচনায় এসেছে ভারতের শহরটি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ‘পেন্টাগনের’ থেকেও বড় এক অফিস ভবন নির্মাণ করা হয়েছে গুজরাটের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ নগরীতে।

ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাই থেকে প্রায় দেড় শ মাইল উত্তরের শহরটিতে ‘সুরাট ডায়মন্ড বোর্স’ নামে এ ইমারতটিকে ওয়ান-স্টপ ডেস্টিনেশন হিসেবেই তৈরি করা হয়েছে, যেখানে চলবে হীরা কাটাসহ বাণিজ্যসংক্রান্ত কাজ। এতে মোট ৬৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের জায়গা হতে চলেছে অফিস ভবনটি।

এর আগে, পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি জায়গা নিয়ে তৈরি অফিস ভবন ছিল পেন্টাগন। ইমারতটি তৈরির মধ্য দিয়ে ৮০ বছরের রেকর্ডটি হারাতে যাচ্ছে ভবনটি!

জানা গেছে, ৩৫ একর জমিতে ৭০ লাখ বর্গফুটের বেশি ফ্লোর স্পেস নিয়ে নির্মিত কমপ্লেক্সটি ১৫ তলা। ৯টি আয়তাকার কাঠামো তৈরি রয়েছে এতে। ২০ লাখ বর্গফুটজুড়ে এলাকা কেবল পার্কিংয়ের জন্যই বরাদ্দ। আর পুরো জায়গাটিকে যুক্ত করা হয়েছে কেন্দ্রীয় একটি স্পাইনের মাধ্যমে।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্বেল মেঝের আলো ঝলমলে ওই স্থাপনাটি, যেখানে চার হাজারের অধিক অফিস থাকবে। ভারতীয় মুদ্রায় ৩২ বিলিয়ন রুপি অর্থাৎ ৩৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে তৈরি ইমারতটিতে কেবল লিফটই বসানো হয়েছে ১৩১টি। আকাশছোঁয়া ‘সুরাট ডায়মন্ড বোর্স’ তৈরি হতে সময় লেগেছে ৪ বছর।

ভারতীয় স্থাপত্য সংস্থা মরফোজেনেসিনের পরিকল্পনায় তৈরি করা হয়েছে অফিসটি। অফিসের ভবনটি নকশার আগেই হীরা সংশ্লিষ্টদের কাজের ধরন জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল স্থাপত্য সংস্থাটিকে।

আগামী নভেম্বরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ইমারতটি উদ্বোধনের কথা রয়েছে। তবে এরই মধ্যে হীরা কোম্পানিগুলো সব অফিস কিনে নিয়েছে বলেও জানান প্রকল্পটির সিইও। এদিকে, মুম্বাইসহ ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে কাজের জন্য আসা কর্মীদের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা থাকায় যাতায়াতের সময়ও বাঁচবে বলে দাবি তার।

Comments (০)
Add Comment