সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইউপি চেয়ারম্যান মুত্তালিব হোসেন বাবর বলেন, ‘উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের চৌরাসমাসপুর আড্ডা এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গত ২৪ মার্চ বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আহত এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনা নিয়ে কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশন ও স্থানীয় পত্রিকায় আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে। প্রকৃতপক্ষে মারামারির ওই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনোভাবে সম্পৃক্ততা নেই।
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘উপজেলার চৌরাসমাসপুর গ্রামের তরিকুল ইসলাম, তাঁর ভাই তফিকুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলামদের সংগে চার বিঘা নিয়ে একই গ্রামের সাবির উদ্দিন, তাঁর ভাই খবির উদ্দিন, আকতার আলীর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ওই জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলছিল। সম্প্রতি ওই মামলায় আদালত তরিকুল ইসলামদের পক্ষে রায়ের দেয়। রায়ের ভিত্তিতে তরিকুল ইসলাম ও তার রায়ের ভিত্তিতে ভাইয়েরা গত ২৪ মার্চ জমির দখল বুঝে নিতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদেরকে বাধা দেন।
এতে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। খবর পেয়ে ২৪ মার্চ সন্ধ্যায় আমি ওই গ্রামে গিয়ে বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে আপোস-মিমাংসা ও পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করি। দুই পক্ষের সাথে কথা বলে ওই স্থান থেকে আমি চলে আসি।
তিনি আরও বলেন, ২৪ মার্চ সন্ধ্যায় দুই পক্ষের সাথে কথা বলে চলে আসার পর ওই ঘটনার জেরে পার্শ্ববর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার শেরপুর গ্রামে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। ওই ঘটনায় আহত জয়নাল আবেদীন (৪৫) নামে এক ব্যক্তি গত বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মারা যান। মারামারির ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষই থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা করে। কোনো মামলাতেই আসামি হিসেবে আমার নাম নেই। অথচ এই ঘটনা নিয়ে কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশন ও স্থানীয় পত্রিকায় আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে।
প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়, আমার নেতৃত্বে ওই হামলার ঘটনা ঘটে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। যে জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ এর সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি কেবল একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ মিমাংসার চেষ্টা করেছি।