জানা যায়, শেরপুর শহীদিয়া কামিল ¯œাতকোত্তর মাদ্রসা মাঠে শেরপুর উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের আয়োজনে মহসমাবেশে বিকেল ৪ টায় জঙ্ঘিবাদ,সন্ত্রাস, নাশকতা ও মাদক বিরোধী মহাসমাবেশে অনুষ্ঠান শুরু হয় । অনুষ্ঠানে প্রায় দেড় শতাধিক আমন্ত্রিত মুক্তিযোদ্ধারা একত্রিত হয়ে নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিট আগে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়। একে এক সব অতিথি আসলে তাদের মঞ্চে ডেকে নেয়া হয়। কিন্তু উপেক্ষিত থাকে কমান্ডারসহ সকল মুক্তিযোদ্ধা। অপরদিকে একই অনুষ্ঠানে আয়োজকরা উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে ২/১জনকে প্রাধান্য দিলেও অধিকাংশদের অবমূল্যায়ন করে। অনুষ্ঠান শুরু করে সকল অতিথিদের সন্মাননা প্রদান ও ক্রেস্ট বিতরণের পূর্বে জাতীয় সংগীত ও কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের স্ব-রচিত সঙ্গীত পরিবেশন করে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। তারপরে স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে মঞ্চ মাইকে ঘোষণা এখন সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখবেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ওবায়দুর রহমান। তিনি তার বক্তব্যেই উপস্থিত সকলের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়ে বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধারা আপনাদের কাছে আজও অবহেলিত, সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে আমাদের শত গ্লানি দুঃখ সহ্য করতে হয় । আজ এই বাংলাদেশ কার জন্য। হায় কি বলবো! একেই বলে প্রতিদান। তিনি আগামী দিনে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সকল বিষয়ে সচেতন থেকে এ সকল অপমানের ব্যথা মনে করে সামনের দিনে সু-সংবাদ হিসেবে এগিয়ে চলতে বলেন । সেই সাথে জঙ্গিবাদ নির্মূলের দাবিও করেন । তার এই বক্তব্যের সাথে সাথে মঞ্চের সামনে উপস্থিত প্রায় ৫ হাজার লোকজন করতালি দিয়ে তাকে অভিবাদন জানান । অপরদিকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে ২/১জনকে বক্তব্যের প্রাধান্য এবং আসনে বসার ব্যবস্থা করা হলেও অধিকাংশরা ছিল উপেক্ষিত ও অবহেলিত। এ প্রসঙ্গে শেরপুর থানার একজন কর্মকর্তা নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক হয়ে বলেন, স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি নিয়ে আয়োজক কমিটির কিছুটা দূর্বলতা রয়েছে। তবে এটা করা উচিৎ হয়নি।