নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের উপ-নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডে ১০টি কেন্দ্রে ৬১টি বুথে পুরষ-১০৫৪৩, মহিলা-১০৮৪১ মিলে মোট ২১৩৮৪জন ভোটারের মধ্যে ১৭,১৬১ জন ভোটার তাদের ভোটারাধিকার প্রয়োগ করেন। উক্ত নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম সরওয়ার (নৌকা), বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মজিবুবর রহমান(ধানের শীষ), আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকির হোসেন খান(ঘোড়া), সুধান্য সরকার(আনারস)ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থীমোঃ আব্দুর রহমান (হাতপাখা) প্রতিক পেয়ে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ গ্রহন করে। এতে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে জয়-পরাজয়ের হিসাবে জাকির হোসেন খান (ঘোড়া) প্রতিকে নির্বাচিত হয় ও অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী সুধান্য সরকার(আনারস) প্রতিক নিয়ে ২য় স্থানে রয়েছে। নির্বাচনী তফশীল অনুযায়ী ঘোষিত প্রচারনার শেষে ২১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিরতীগহীনভাবে ভোট গ্রহন করা হয় বলে উপজেলা নির্বাচন অফিসার আনিসুর রহমান ও রিটার্নি কর্মকর্তা উপজেলা কৃষি অফিসার খাজানুর রহমান জানিয়েছেন। তাছাড়া এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম সরওয়ার(নৌকা) প্রতিক নিয়ে ৩র্থ স্থানে, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মজিবুর রহমান(ধানের শীষ) প্রতিকে ৪র্থ স্থানে রয়েছেন। অন্যদিকে এ উপ-নির্বাচন সুষ্ঠ, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে ১ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ৫ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ ২ শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বেশ তৎপর ছিলেন বলে শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) বুলবুল ইসলাম জানিয়েছেন। নির্বাচনী এলাকার কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে প্রতীয়মান হয়েছে। তবে হিন্দু ভোটার অধ্যুষিত এ নির্বাচনী এলাকায় ক্ষমতাসীন দলীয় প্রার্থীর ধরাশায়ী হওয়ার কারন হিসেবে, প্রার্থী বাছাই ও দলীয় নেতাকর্মীদের মতানৈক্য, অসৌজন্যমুলক আচরণ, বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রচারণাকার্যে বাধা, ক্ষমতার দাপটকেই দায়ী করেছেন স্থানীয় রাজনৈতিক ও নির্বাচন বিশ্লেষকেরা। উল্লেখ্য এ ইউনিয়নে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী সুবোধ সরকার(নৌকা)প্রতিকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হওয়ায় প্রায় দেড় বছর পর তার মৃত্যুর পর পদটি শুন্য হওয়ায় উপ-নির্বাচন হয়।