বরিশালে তৃতীয় দিনের মতো কালেক্টরেট সহকারীদের কর্মবিরতি

বরিশাল প্রতিনিধি : পদবী পরিবর্তন ও বেতন স্কেল উন্নীতকরণের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে টানা তৃতীয় দিন দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করছে বরিশাল জেলা প্রশাসনের কর্মচারীরা। বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বানে বুধবার তৃতীয় দিনের মতো বরিশাল জেলা প্রশাসন কার্যালয় চত্ত্বরে কর্মবিরতি পালন করেন আন্দোলকারীরা। এ সময় বক্তব্য দেন বরিশাল জেলা কালেক্টরেট সহকারী সমিতির সভাপতি মাহফুজুর রহমান ও সাধারন সম্পাদক বারেক মোল্লাসহ অন্যান্যরা। আন্দোলনকারীরা বলেন, ২০১৩ সালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গঠিত স্থায়ী কমিটির সভায় যে সব সুপারিশ করেছিল তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি। এরপর ২০১৮ সালে মন্ত্রী পরিষদের সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় যেসব নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিলো তাও বাস্তবায়িত হয়নি। তাদের দাবি মেনে না নেয়া হলে পরবর্তীতে লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণার হুশিয়ারি দেন আন্দোলনকারী নেতৃবৃন্দ।

 

নবায়ন বন্ধ করেছে বিসিসি, লাইসেন্স ভাড়ায় মাফ নেই চালকদের

বরিশাল প্রতিনিধি : হতদরিদ্র অটো চালকদের জন্য বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র লাইসেন্স নবায়ন পদ্ধতি বাতিল করলেও পরিত্রাণ হয়নি অটো চালকদের। প্রতি মাসেই লাইসেন্স ভাড়া গুনতে হচ্ছে কয়েক হাজার চালকদের। সরকার রাজস্ব না পেলেও লাইসেন্সের ভাড়া হাতিয়ে নিচ্ছেন মালিকরা সাথে প্রতিদিনের অটো ভাড়া। এ বিয়ষটিতে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের কিছু করার নেই বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। এছাড়া যেহেতু লাইসেন্স নবায়ন বন্ধ রাখা হয়েছে সে কারনে এ বিষয়ে কেউ কোন কথা বলতে রাজি হননি। বরিশাল সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, নগরীতে কর্পোরেশন অনুমোদিত ২৬১০ টি হলুদ অটো রয়েছে। এছাড়াও অসাধু উপায়ে আরও কয়েক হাজার অটো নগরীতে চলাচল করছে। এরমধ্যে কর্পোরেশন অনুমোদিত অটোগুলোর লাইসেন্স নবায়ন স্থগিত করেন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। কারন দিন দিন নগরীতে দ্রুত গতির থ্রি-হুইলার (মাহিন্দ্রা, সিএনজি) জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় হলুদ অটোতে উঠতে চান না যাত্রীরা। হলুদ অটোর উপযুক্ত ফিটনেস না থাকা এবং বছর না ঘুরতেই নতুন গাড়ি লক্কর-ঝক্কর হয়ে যাওয়ায় এই জনপ্রিয়তা কমে গেছে। এদিকে নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থা অক্ষুন্ন রাখতে এবং যান চলাচলে গতি ধরে রাখতে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন ও মেট্রোপলিটন ট্রাফিক বিভাগ যৌথ সিদ্ধান্তে নগরীর প্রধান প্রধান সড়কে হলুদ অটো চলাচল বন্ধ রেখেছে। মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের উপ-কমিশনার খাইরুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, পর্যায়ক্রমে হলুদ অটো মেট্রোপলিটন এলাকা থেকে তুলে দেওয়া হবে। এমতাবস্থায় হলুদ অটো চালকদের দিনের খরচ তুলতেই কষ্ট হচ্ছে। চাঁনমারির বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, মেয়র স্যার লাইসেন্স ফি মওকুফ করার পরও খরচের সাথে পাল্লা দিয়ে ভাড়া উঠাতে পারি না। কারন কেউ হলুদ অটোতে উঠতে চায় না। আরেক অটো চালক রুবেল বলেন, দেড় বছর আগে অটোটা কিনছি। এখন কেউ কিনতেও চায় না। কি করমু-বাধ্য হয়ে নিজে চালাই। নাইলেতো ঘরে বাজার জোটে না। সূত্র মতে, কর্পোরেশন অনুমোদিত ২৬১০টি হলুদ অটোর মধ্যে ১০% অটোর মালিক চালকরা। বাকি ৯০ ভাগ অটোর লাইসেন্সের মালিক অটো চালক নন। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামালের দায়িত্ব পালনের আমলে দুর্বৃত্তায়নের দ্বারা অটোর লাইসেন্স বেহাত করেছেন। তখন ‘কামালপন্থি’ হাতেগোনা কয়েকজন কাউন্সিলর, দলের অনুগত এবং মেয়রপুত্রের ঘনিষ্টজনরা সেই লাইসেন্সের মালিক বনে যান। অনুসন্ধান বলছে, কাউনিয়ার এক কাউন্সিলর তার নিজের নামে ২০০ অটোর লাইসেন্স, কেডিসি কলোনীর এক আ.লীগ নেতার নামে ১০০ লাইসেন্স নিজ নামে করিয়ে নিয়েছেন। শুধু এই ৩০০ লাইসেন্স নয়, বাকি লাইসেন্সের বেলায়ও এমন দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে। অটো চালকরা জানিয়েছেন, বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে লাইসেন্স ভাড়া নিয়ে অটো চালাতে হত। ওই সময়ে মাসপ্রতি প্রতি লাইসেন্স ভাড়া ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত দিতে হতো। সাদিক আব্দুল্লাহ দায়িত্ব গ্রহণের পর অটো চালকদের দারিদ্রতার কথা চিন্তা করে লাইসেন্স নবায়ন ফি মওকুফ করে দেন। সেই সাথে বন্ধ করে দেন হলুদ অটোর লাইসেন্স নবায়ন পদ্ধতি। মেয়রের এই উদারতায় অটো চালকরা হাফ ছেড়ে বাঁচলেও তা ছিল সাম্যক। কারন মেয়র লাইসেন্স ফি মওকুফ করলেও লাইসেন্স মালিকরা ভাড়া নিতে ভুল করছেন না। যদিও সিটি কর্পোরেশন থেকে লাইসেন্সের নবায়ন স্থগিত করায় হলুদ অটোর লাইসেন্সের কোন মূল্য না থাকলেও পুরানো পদ্ধতিতে মাসের পর মাস লাইসেন্স ভাড়া গুনে যাচ্ছে দরিদ্র অটো চালকরা। জানা গেছে ৯০ ভাগ লাইসেন্স চালকদের নামে না হলেও এখনো ভাড়া ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা ভাড়া গুনেই অটো চালাতে হয়। তাছাড়া প্রতিদিনের ভাড়াতো আছেই। ওদিকে লাইসেন্স ভাড়া নেওয়ার জন্য শুরুতে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা জামানত নিয়েছিল লাইসেন্স মালিকরা। সেই টাকাও ফেরত দিচ্ছে না চালকদের। ফলে জমানত তুলতেও জিম্মি হয়ে লাইসেন্স ভাড়া গুনতে হচ্ছে। বদৌলতে কয়েকশ ভাড়া কম নিচ্ছে লাইসেন্স মালিকরা। এ বিষয়ে হলুদ অটো শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লতিফ শিকদার লেদু বলেন, লাইসেন্স মালিকদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। একদিকে আমাদের জামানতের টাকা দেন না অন্য দিকে মেয়র স্যারের নির্দেশ উপেক্ষা করে লাইসেন্সের ভাড়া নিচ্ছেন। তিনি বলেন, বাতলি লাইসেন্স ক্রয় করে অটো চালাতে গিয়ে আমাদের অনেক কষ্ট হয়।

 

বরিশালে ভূমি ব্যবস্থাপনায় তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগে প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন

বরিশাল প্রতিনিধি : বরিশালে ভূমি ব্যবস্থাপনায় তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগবিষয়ক চার দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার সকালে বরিশাল সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে এই কোর্সের উদ্বোধন করা হয়। কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল বিভাগের উপ-ভূমি সংস্কার কমিশনার তরফদার মো. আকতার জামিল। এছাড়া জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা উর্মি ভৌমিক এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত বিশ্বাস দাস অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। কর্মশালায় বরিশাল জেলার বিভিন্ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরি অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালার আয়োজকরা জানান, এখন থেকে ভূমি ব্যবস্থাপনায় ই-নথির প্রচলন হচ্ছে। নতুন ভূমি ব্যবস্থাপনায় কর্মকর্তা-কর্মচারিদের দক্ষতা অর্জন করতে এই প্রশিক্ষণ কোর্স আয়োজন করা হয়েছে। এই প্রশিক্ষনেণ ফলে জনগণ ভূমি সংক্রান্ত সকল সেবা সহজে পাবেন। তাদের আর ভোগান্তি কিংবা হয়রানির শিকার হতে হবে না।

 

Comments (০)
Add Comment