বিকাশ অফিসের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতারণা, নিঃস্ব কলেজ ছাত্র

মোঃ সাজেদুল ইসলাম(১৯) কলেজ পড়ুয়া  একজন  ছাত্র। অন্যান্য দিনের মতো চলতেছিল তার দিন। কিন্তু হঠাৎ যেন আকাশ ভেঙে পড়লো তার মাথায় । বিকাশের এজেন্টের পরিচয় দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে ১৬৬৩৪ টাকা এবং তার সাথে বিকাশ এ্যাপস এর মাধ্যমে সিটি ব্যাংক থেকে আরও ১০ হাজার টাকা লোন নিয়ে তাদের ব্যবহৃত নাম্বার বন্ধ করে দিয়েছে। প্রতারণার কৌশলটি ছিলো  অভিনব। যাঁদের একইসঙ্গে বিকাশ একাউন্ট এবং ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড আছে, তাঁদের লক্ষ্যবস্তু বানায় এই সব  প্রতারক চক্র।

সাজেদুল ইসলাম বলেন, গত ৫জুন ২৩ রোজ সোমবার বেলা ১১:৩০মিনিটের  সময়  আমার মোবাইলে কল আসে।  আমি রিসিভ করলে তিনি এজেন্ট পরিচয় দিয়ে বলেন আপনার নাম্বারে ২ হাজার টাকা ভুল করে চলে গেছে। আমি  জানায় এমন কোন টাকা আসেনি তিনি আবারও একটা মেসেজ করে এবং ২ হাজার টাকা গেছে ফেরত দিতে বলে।  কিন্তু আমি ব্যালেন্স চেক করে কোন টাকা পাই নাই। পরে তার সাথে তর্ক  হলে  কিছুক্ষন পর অন্য নাম্বার থেকে ফোন আসে এবং বলে বিকাশ অফিস থেকে বলছি।

আপনার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ আছে সেটি হলো আপনার একাউন্টে এক এজেন্ট থেকে ২হাজার টাকা চলে এসেছে। তার অভিযোগের ভিত্তিতে  আপনার  একাউন্ট তিন মাস বন্ধ করে দেয়ার হয়েছে। পরক্ষণে আমি তাকে বোঝানোর চেষ্টা করি  এবং  রিকোয়েস্ট করি বন্ধ না করে দেয়ার জন্য। তখন বলে আপনার ফোনে নাম্বারটা অলরেডি বন্ধ করে দিয়েছি আপনি যখন বলছেন তাহলে আপনার নাম্বারটা এক্টিভ করতে হলে  ১৫৯০০ টাকা ক্যাশ ইন করে অ্যাকাউন্টটি লেনদেন দেখিয়ে  এক্টিভ করে আবার টাকা  উঠিয়ে ফেলেন।

পাশে হাটবোয়ালিয়া  বাজার থেকে পরিচিত এজেন্ট নাম্বার থেকে  ১৫৯০০ টাকা ক্যাশ ইন করলে তারপর বলেন চার সংখ্যার একটা  নাম্বার যাবে সেটি দিতে। আমিও ফাঁদে পড়ে দিয়ে দিয়েছি।  সাথে সাথে আমার ব্যালেন্স  জিরো এবং অ্যাপসের মাধ্যমে সিটি ব্যাংক থেকে আরো ১০ হাজার টাকা লোন নিয়েছে। যে নাম্বার দুটি থেকে ধোঁকা দিয়েছে তা  হলো, ০১৮৭৪৩৫৪৯৩৭,০১৬১৫৯৪৭৮১৬ ভুক্তভোগী সাজেদুল, আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়িয়া মো: আব্দুস সালামের ছেলে।

এই নাম্বার উল্লেখ করে আলমডাঙ্গা থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করা হয়েছে।

Comments (০)
Add Comment