বিদায়ের আগে দেড় শতাধিক প্রার্থীকে নিয়োগ দিয়েন রাবি ভিসি

রাবি সংবাদদাতা: বিদায়ের আগ মুহূর্তে অ্যাডহকে ১৪১ চাকরিপ্রত্যাশীকে নিয়োগ দিয়ে গেলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভিসি অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি স্বাক্ষরিত একটি তালিকা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এর মধ্যে ই তালিকায় ৮৫ জন উচ্চমান সহকারী, ৯ জন শিক্ষক ও তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীসহ ৪৭ জনের নাম পাওয়া গেছে।
ভিসি স্বাক্ষরিত ওই নোটিসে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ১৯৭২ এর ১২ (৫) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে অস্থায়ী ভিত্তিতে (অ্যাডহক) ছয় মাসের নিয়োগ দেওয়া হলো। অবিলম্বে এই নিয়োগ কার্যকর করা হোক। এ সময় চাকরিতে যোগদানের জন্য ভিসি ভবনে চাকরিপ্রার্থীরা ভিড় করছেন বলে জানা গেছে।
তবে ইস্যুকৃত নিয়োগপত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম স্বাক্ষর করেননি। তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলে ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে। অব্যাহতির বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম বলেন, ‘আমি এখন অজ্ঞাত স্থানে আছি। কোন অবৈধ কার্যক্রমের সঙ্গে থাকব না বলেই অজ্ঞাতবাসে আছি।’
এর আগে বেলা আড়াইটায় পুলিশ পাহারায় ক্যাম্পাস ছাড়েন ভিসি অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি আমার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষা, গবেষণা খাত, সংস্কৃতি চর্চায় যথেষ্ট অবদান রেখেছি।  সেটা আপনারা মূল্যায়ন করবেন। কতজন নিয়োগ দিলেন সে বিষয়ে জানতে চাইলে পরে জানতে পারবেন বলেন তিনি।
এর আগে ভিসি বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিচ্ছেন এমন খবর পেয়ে সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও চাকরিপ্রত্যাশীরা অবস্থান নেয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার মামুনুর রশীদ ১২২ জন চাকরি প্রত্যাশীর নিয়োগ নিশ্চিত করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে স্বাক্ষর নিয়ে ভিসির বাসভবন থেকে বেরিয়ে আসছেন। এমন খবর পেয়ে মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে ঘিরে ধরে মারধর করেন।

 

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে সেখানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দফায় দফায় চলতে থাকে সংঘর্ষ। পরে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করে। ফলে হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা ক্যাম্পাস ছেড়ে যায়।

এ ঘটনায় শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান চঞ্চল, হবিবুর হলের সেকশন অফিসার আবদুল্লাহ আল মাসুদসহ আরও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহত সবার নাম ও পরিচয় জানা যায় নি।

 

Comments (০)
Add Comment