দোয়া মাহফিলে রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, পরম আরাধ্য ব্যক্তি মা। মা সন্তানের সুখের জন্য অনেক ত্যাগতীতিক্ষা করে থাকেন। আমার বাবা শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে সকল চড়ায় উৎরায়ে মা ছিলেন আজীবন সঙ্গী। রাজনৈতিক জীবনের সকল কর্মকান্ডে পরামর্শ প্রদান করেছেন।
মেয়র আরো বলেন, ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর বাবার মৃত্যুর পর অনেক কষ্টের জীবন অতিবাহিত করতে হয়েছে। বাবা শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান মন্ত্রী থাকার পরও তেমন কোন অর্থসম্পদ ছিলনা। বাবার দুটি ব্যাংকে মাত্র ৭২৫০ টাকা ছিল। আমার পিতার অবর্তমানে পিতার ভূমিকায় ছিলেন আমার মা জাহানারা জামান। আমার পিতার রেখে যাওয়া আদর্শে মা আমাদের বড় করেছেন। তিনি চলে গেছেন, কিন্তু আমাদের জন্য রেখে গেছেন আদর্শ। সেই আদর্শ ধারণ করে আমি ও আমার পরিবার মানুষের পাশে আছি।
তিনি আরও বলেন, বাবার মৃত্যুর পর আমি যখন কোলকাতা থেকে বাংলাদেশে আসি তখন মনে হয়েছিলো মাথার উপর ছাদ নেই। সেই সময় আমার মা পরিবারের সকল দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করেছেন। যার জন্য তাঁকে অনেক উত্তাল সাগর পাড়ি দিতে হয়েছে। বাবা সংসদ সদস্য থাকাকালিন যে সম্মানি পেতেন তিনি মাকে সেটা দিয়ে দিতেন। মা সেখান থেকেই কিছু টাকা প্রতিমাসেই সঞ্চয় করতেন। মা পরিবারের খরচের সকল ঋন পরিশোধ করে দিতেন। আমি তখনও কোথাও টাকা পরিশোধ করে না আসলে মা আমাকে বকাবকি করতেন কিন্তু সেই ঋন তিনিই পরিশোধ করে দিতেন। তিনি এত বড় নেতার সহধর্মিণী হয়েও রাজনীতি থেকে কোন সুবিধা নিতে চান নি। আমার শিক্ষাজীবন থেকে প্রতিষ্ঠালাভ অবধি প্রেরণার মূল উৎস আমার মা। তাঁর এই ঋন আমি কখনও পরিশোধ করতে পারবো না। আমি তাঁর প্রতি চিরকৃতজ্ঞ।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধরণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ ভাবে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি, মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য এবং নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রাজনীতি করার সময় তিনি যখন পরিবারকে তেমন দেখাশোনা করতে পারতেন না। তখন তাঁর সহধর্মিণী জাহানারা জামান তাঁর ছেলে-মেয়েকে অতি যতœ সহকারে লালন পালন করেছেন। আমাদেরকে বাবার অনুপস্থিতি অনুভব করতে দেন নি। তাঁর সন্তানদের প্রতিষ্ঠিত করতে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে গেছেন।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় প্রথমে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে মরহুমার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মহানগর আওয়ামী লীগ। এ সময় মরহুমার পুত্রবধূ রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আকতার রেনী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরিবারের পক্ষ থেকে জাহানারা জামানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মরহুমার দৌহিত্র আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিয়ষক উপ-কমিটির সদস্য, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা এবং অর্ণার স্বামী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের প্রভাষক মো. রেজভী আহমেদ ভূঁইয়া।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, মাহ্ফুজুল আলম লোটন, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, রেজাউল ইসলাম বাবুল, ডাঃ তবিবুর রহমান শেখ, নাঈমুল হুদা রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আসাদুজ্জামান আজাদ, আহ্সানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আসলাম সরকার, মীর ইসতিয়াক আহম্মেদ লিমন, কৃষি সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, প্রচার সম্পাদক দীলিপ কুমার ঘোষ, আইন সম্পাদক অ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, ত্রাণ ও সমাজকল্যান সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, বন ও পরিবেশ সম্পাদক রবিউল আলম রবি, মহিলা সম্পাদিকা ইয়াসমিন রেজা ফেন্সি, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মকিদুজ্জামান জুরাত, শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক ওমর শরীফ রাজীব, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, উপ-দপ্তর সম্পাদক পংকজ দে, উপ-প্রচার সম্পাদক সিদ্দিক আলম, সদস্য জহির উদ্দিন তেতু, শামসুজ্জামান আওয়াল, এনামুল হক কলিন্স, মুশফিকুর রহমান হাসনাত, আশরাফ উদ্দিন খান, অ্যাড. শামসুন্নাহার মুক্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আব্দুল মান্নান, আতিকুর রহমান কালু, আব্দুস সালাম, মজিবুর রহমান, ইসমাইল হোসেন, বাদশা শেখ, আলিমুল হাসান সজল, জয়নাল আবেদীন চাঁদ, ইউনুস আলী, খায়রুল বাশার শাহীন, মোখলেশুর রহমান কচি, অ্যাড. রাশেদ-উন-নবী আহসান, কে.এম জুয়েল জামান, আশীষ তরু দে সরকার অর্পণ, রাজপাড়া থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ আনসারুল হক খিচ্চু, বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, মতিহার থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, শাহমখদুম থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহাদত আলী শাহু, নগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী, সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন বাচ্চু, নগর কৃষক লীগ সভাপতি রহমতউল্লাহ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক সাকির হোসেন বাবু, নগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, নগর মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সালমা রেজা. সাধারণ সম্পাদক কানিজ ফাতেমা মিতু, নগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি অ্যাড. ইসমত আরা, সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি রকি কুমার ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজিব সহ নেতৃবৃন্দ।