বৈশাখের কেনাকাটায় ব্যস্ত ঠাকুরগাঁওয়ের ক্রেতারা জমে উঠেছে মার্কেটগুলো

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : হাজারো ছন্দ-কবিতা ও প্রাণের উচ্ছ্বাসে বছর ঘুরে আসছে আগামী ( ১৪ এপ্রিল ) পহেলা বৈশাখ। প্রতি বছর এ দিনকে ঘিরে বাঙ্গালি জাতি আয়োজন করে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। সেই সাথে প্রতিবারের মতো এবারেও জমে উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ে মার্কেটগুলো। শেষ পর্যায়ের কেনা কাটায় ব্যস্ত ক্রেতারা আর সেই সাথে ব্যস্ত প্রতিটি বিক্রেতাও। দেখে মনে হতে পারে এখানকার মার্কেট গুলিতে যেনো ঈদের ছোয়া লেগেছে।
আর মাত্র ১দিন পর শুরু হবে বাঙালি ঐতিহ্য ধারণের এ উৎসব। এই উৎসবকে প্রাণবন্ত করে তুলতে সব রকমের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ঠাকুরগাঁওবাসী। অপরদিকে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে সাজানো হচ্ছে ঠাকুরগাঁও শহরকে। সেইদিন সকাল ৬টায় ঠাকুরগাঁও কালেক্টর চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে সঙ্গীতানুষ্ঠান। পরে সকাল ১০টায় সেখান থেকে একটি মঙ্গল শোভাযাত্রা বেড় হয়ে স্টেশন ক্লাবে গিয়ে শেষ হবে। এরপরে সেখানেই ঐতিহ্যবাহী বাঙালিয়ানা খাবার পরিবেশন করা হবে।
এবাওে ঠাকুরগাঁওয়ে বৈশাখকে সামনে রেখে মার্কেটগুলোতে মেয়েদের জন্য রয়েছে থ্রি-পিস, শার্ট টপস, শাড়ি, ওড়না প্লাজ্জো ইত্যাদি। পাশাপাশি রয়েছে ছেলেদের পাঞ্জাবি ও বাচ্চাদের পোশাক।
কথা হয় ঠাকুরগাঁওয়ের ইতিহ্যবাহী বাগদাদ ক্লথ স্টোর, বউ বাজার, সাগরিকা, কোয়ালিটি ফ্যাশন হউজের ব্যবসায়ীদের সাথে। তারা জানান, এবারে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আমাদের অনেক বেচাকেনা হচ্ছে। পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব হওয়ার কারণে এর আমেজ প্রতিবছরই বাড়ছে। ঈদ বা পুঁজা উৎসবকে আমাদের দেশে যেমন সাম্প্রদায়ীকতার উর্ধ্বে দেখা হয় তেমনি এ উৎসবটিও সবার জন্য সমান। তাই এ উৎসবে সব ধর্মের সবাই সমানভাবে কেনাকাটায় উৎসাহী হয়। আমরা আশা করছি এবারে আমরা গতবারের চেয়ে বেশি লাভোবান হবো।
বউবাজার মার্কেটে কথা হয় নতুন জামা কিনতে আসা এক ক্রেতা রায়শা, ইশার সাথে। তারা বলেন, আমরা প্রতি বছরই জামা কিনি। নতুন দিনে নতুন নতুন কাপড় পড়তে অনেক মজা লাগে। আমাদের স্কুল থেকে র‌্যালি বেড় হবে সেদিন সকালে। তাই জামা কিনতে এসেছি।

Comments (০)
Add Comment