ব্রাজিলে ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধস- নিহত ১৪

প্রবল বৃষ্টির পর ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোর বেইক্সাজাদা ফ্লুমিনেসি এবং দক্ষিণের উপকূলীয় কয়েকটি শহরে ভূমিধস হয়েছে। ছবি : রয়টার্স

প্রবল বৃষ্টির পর ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোর বেইক্সাজাদা ফ্লুমিনেসি এবং দক্ষিণের উপকূলীয় কয়েকটি শহরে ভূমিধস হয়েছে। এতে প্রাণহানি বেড়ে হয়েছে অন্তত ১৪। স্থানীয় সরকার ও রিও ডি জেনিরোর রাজ্য সরকারের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির আজ রোববারের প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

রাজ্য সরকার কর্তৃপক্ষ বলেছে, লোকজন উদ্ধারকর্মীদের ফোন করছেন। ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে আটশ কল ধরা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ১৪৪ জন উদ্ধার হয়েছেন।

কয়েক সপ্তাহ ধরে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়েছে রিও ডি জেনিরো। গত ফেব্রুয়ারিতেই ভূমিধস ও বন্যায় রিও ডি জেনিরোর পেট্রোপলিসে প্রায় ২৪০ জনের মৃত্যু হয়। তবে ওই সময় বন্যা ও ভূমিধসে মৃত্যুর কথা জানানো হয়নি। গত ২৩ মার্চ স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পেট্রোপলিসে বন্যা ও ভূমিধসে প্রাণহানির কথা জানায়।

দেশের দক্ষিণ-পূর্বে আটলান্টিক উপকূলের বিস্তৃত অংশে ঝড় আঘাত হানার পর একাধিক ভূমিধসের ঘটনায় প্রাণহানি হয়েছে। পর্যটন শহর পারাটিতে ভূমিধসে পাঁচ সন্তানসহ মায়ের মৃত্যু হয়েছে। মেয়র লুসিয়ানো ভিদাল বলেন, ৭০টির বেশি পরিবার গৃহহীন হয়েছে। এসব মানুষকে আশ্রয় ও থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে।

পারাটি মেয়র আরও বলেন, ভূমিধসে সড়কগুলো অবরুদ্ধ হয়ে গেছে। শহরে কিছু এলাকা এখন জনবিচ্ছিন্ন। আর গোটা এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। একদিনে পারাটিতে ৩২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এক দিনে ছয় মাসের সমান বৃষ্টি হয়েছে। সেখানে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত সাতজনের মৃত্যুর কথা জানান তিনি।

দুই দিন ধরে রিও ডি জেনিরো রাজ্যে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। গত শুক্রবার রাতে প্রচণ্ড ঝড়ের কারণে জলোচ্ছ্বাস দেখা দেয়। এতে শহরের অনেক রাস্তা তলিয়ে তীব্র স্রোতে অনেকের ব্যক্তিগত গাড়ি ভেসে গেছে। পাহাড়ি এলাকায় বন্যা ও ভূমিধসে সেখানকার দরিদ্র অধিবাসীরা প্রতিবছর এ ধরনের ট্র্যাজেডির শিকার হন।