আরো কতদিন পরিবহন যোগাযোগ বন্ধ থাকতে পারে তার নিশ্চয়তা এখনো কারো কাছে নেই। ফলে পরিবহন শ্রমিকেরা এখন দিশেহারা। প্রাইভেট কিছু পরিবহনের শ্রমিক মাসিক বেতনে কাজ করলেও অধিকাংশ শ্রমিক দিন মজুরের মতো কাজ করেন। কাজ করলে টাকা, আর কাজ না থাকলে টাকা নেই। ফলে কাজ না থাকলে ওই শ্রমিক ও তাদের পরিবারের না খেয়েই দিন কাটে।
ডিমলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ডিমলা উপজেলায় বাস ও ট্রাক মিলে পরিবহন শ্রমিকদের সংখ্যা প্রায় ৬০০ জন। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সারাদেশে লকডাউন থাকায় পরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সে কারণে পরিবহন শ্রমিকরা সম্পূর্ণ বেকার অবস্থায় পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এর মধ্যে ১১৫ জন শ্রমিকের মাঝে ত্রাণ বিতরন করা হয়েছে।
পরিবহন শ্রমিক শ্যামল সেন বলেন, গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা আসা থেকেই তার বাস বন্ধ। ঘরে যে চাল-তরকারি ছিল তা দিয়ে দুদিন কোনোরকম চলেছে। এখন আর চলছে না। কারো কাছ থেকে ধার নেবেন সে রকমও কেউ নেই। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে এখন না খেয়ে মরার উপক্রম হয়েছে।