সরেজমিনে গিয়ে জবেদা ও কানচু মিয়া পরীভানু জানান, সাহেবের আলগা ইউনিয়নের আওতায় কর্মসৃজন কর্মসূচি (মঙ্গা) ৪০ দিন করে দু দফায় ৮০ দিন কাজ করেন ৮৮৬ জন শ্রমিক। মোট টাকার পরিমান দারায় প্রায় ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা। দুইশত টাকা দিনমুজুর হিসেবে জন প্রতি পায় ১৬ হাজার টাকা পাওয়ার কথা।
গতকাল শনিবার সাহেবের আলগা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে টাকা বিতরন না করে রহস্যজনক কারনে প্রত্যান্ত চরাঞ্চল চর দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে এই টাকা বিতরন করা হয়েছে। শ্রমিকরা টাকা উত্তোলন করতে গেলে উপজেলা প্রশাসনের যোগসাজসে জন প্রতি শ্রমিকের কাছ থেকে প্রকাশ্যে ৪ হাজার টাকা করে কেটে রাখেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ।
বাকি ১২ হাজার টাকা করে শ্রমিকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকরা ৪ হাজার টাকা কম নিতে অস্বীকার করলে সাহেবের আলগা চেয়ারম্যান সিদ্দিক আলী মন্ডল ও মেম্বারের লোকজন তাদেরকে নানা ভাবে হুমকি দেয়। এ নিয়ে কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াও হয়। অভিযোগ উঠে শ্রমিকের টাকা বিতরনের সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পাশের একটি বাড়িতেই ছিলেন। এছাড়াও দলীয় নেতাকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত ছিলেন।
শ্রমিকের কাছে ৪ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে সাহেবের আলগা ইউপি সদস্য কামাল হোসেন স্বীকার করে বলেন, বিভিন্ন অফিসিয়াল ও আমাদেরও কিছু খরচ বাবদ এই টাকা নেওয়া হয়েছে।
সাহেবের আলগা ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিক মন্ডল বলেন, অগ্রণী ব্যাংকের লোকজন ও পিআইও টাকা বিতরন করেছেন। টাকা কম দেওয়ার বিষয় আমি জানিনা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সিরাজুদৌল্লাহ বলেন, শ্রমিকরা যাতে ১৬ হাজার টাকা করে পায় সেই পরামর্শ দিয়ে নদী পথ হওয়ায় আমি আগেই চলে আসছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরে জান্নাত রুমি জানান, এ বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি।