মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ মার্চ সকালে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ফাজিলপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে শফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী বিথি বেগম লোহার রড, হাতুড়ি দিয়ে আবুল কাশেম ও তার মেয়ে কহিনুর আক্তারকে বেদম মারপিট করে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেন।
সেখানে আবুল কাশেমের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ্য হলে বাড়ীতে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় আবুল কাশেমকে। বাড়িতে নিয়ে আসার পর তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় আবারও চিকিৎসার জন্য মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৯ মে রাত ১০ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে নিহতের পরিবারকে চাপ দিয়ে গ্রাম্য মাতব্বরা পরদিন ২০ মে দুপুরে স্থানীয় কবরস্থানে লাশটি দাফন করেন।
এ ঘটনায় নিহত আবুল কাশেমের জামাই সাইফুল আলম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট ইকবাল হোসাইন, থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ, এস আই সাইফুল ইসলাম, এস আই আসাদুজ্জামান ও গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।