ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত ৯ টার দিকে উপজেলার হাতুড় ইউনিয়নের মহিষবাথান বাজারে। স্থানীয় সূত্রে জানায়, গোফানগর গ্রামের মৃত ছলু মন্ডলের মেয়ে ময়না বহুদিন আগে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ায়। অধিকাংশ সময়ই তিনি মহিষবাথান হাটের বিভিন্ন সেডে রাত কাটায়।
গত বুধবার রাতে একটি সেডে শুয়ে থাকা অবস্থায় বাজারের ঔষধ ব্যবসায়ী আলম পাশের একটি দোকান থেকে হাতুড়ি নিয়ে ওই হাতুড়ি ময়না পাগলির হাত ও পায়ের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করতে থাকে। এ সময় হাতুড়ির আঘাতে ময়না পাগলির একটি হাত ও পায়ের কয়েক জায়গায় ভেঙে যায়। পরে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ব্যবসায়ী আবুল কাশেম বলেন, তার দোকান থেকে জোরপূর্বক হাতুড়ি নিয়ে আলম ময়না পাগলিকে পিটিয়ে ড্রেনে ফেলে রাখে। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে আলম তাকেও মারপিটের হুমকী দেয়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ময়না পাগলিকে এভাবে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়া ঠিক হয়নি। তার মোটরসাইকেলে কাদা দিয়ে থাকলেও অন্যভাবে ভয়-ভীতি দেখাতে পারত।
অভিযুক্ত আলমগীর হোসেন আলম বলেন, হাতুড়ি দিয়ে ময়না পাগলিকে মারপিটের কথা স্বীকার করে বলেন, তার মোটর সাইকেলে কাদা ও ট্যাংকিতে আঁচড় দেয়ায় রাগের বশে হাতুড়ি দিয়ে একটি আঘাত করেছেন।
মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।