এর আগে আইজিপি ৩৭তম এসআই ব্যাচের সমাপনী অভিবাদন গ্রহণ, কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন। এক বছর মেয়াদী এই প্রশিক্ষণে নতুন নিয়োগ পাওয়া কুজকাওয়াজ অনুষ্ঠানে ১ শত ৩৪ জন মহিলা অফিসারসহ ১ হাজার ৭ শত ৫৯ জন শিক্ষানবিশ ক্যাডেট এসআই অংশগ্রহণ করেন। এদের মধ্যে থেকে প্রশিক্ষণে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী পাঁচজনের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন আইজিপি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত হয়েছে। সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখে অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিকে সুগম করা ও সচল রাখায় পুলিশের অবদান অনস্বীকার্য। সাম্প্রতিক কয়েকটি বছরে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দমনে সরকার অনুসৃত জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ পুলিশের পেশাদারিত্ব ও সাহসিকতা বিশে^ প্রশংসিত হয়েছে। আইজিপি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ জানুয়ারি রাজারবাগ পুলিশ লাইনে দেয়া ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- পুলিশ, সামরিক বাহিনী, বিডিআর, রক্ষাবাহিনী বা আনসার যা-ই হই না কেন সকলেই বাংলাদেশের জনগণের টাকা দিয়েই চলি এবং সবাইকে রাখা হয়েছে জনগনের সেবা করার জন্য।
আইজিপি আরও বলেন, নতুন প্রযুক্তির বিকাশ ও বিশ^ায়নের ফলে অপরাধের প্রকৃতি, মাত্রা ও অপরাধ সংগঠনের কৌশল প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। পুলিশকে তাই অপরাধ মোকাবেলা, কলা-কৌশল প্রয়োগ এবং প্রযুক্তি ও লজিস্টিক্স ব্যবহারে সক্ষমতা অর্জন করতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নাজিবুর রহমান, উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহেল বাকী, অতিরিক্ত আইজিপি (ট্রেনিং) বিশ্বাস আফজাল হোসেন, রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) একেএম হাফিজ আক্তার, মহানগর পুলিশের কমিশনার হুমায়ুন কবীর, জেলা পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল্লাহসহ পদস্থ সামরিক ও বে-সামরিক কর্মকর্তা গণ উপস্থিত ছিলেন।