তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল না যে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার হরণ করে নিবেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল না যে ৩০ তারিখের ভোট ২৯ তারিখ রাতে নিয়ে নিবেন! মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল না যে রাজনৈতিক দলগুলোর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রাজনীতি করতে বাধা দিবেন। এইসব তো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল এদেশের মানুষের অধিকার রক্ষা করা। তার স্বাধীনতাকে রক্ষা করা। তার গণতন্ত্রকে রক্ষা করা। তার কথা বলার অধিকারকে রক্ষা করা। সেই চেতনা আজ পুরোপুরি ভাবে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।’ব্রেকিংনিউজ
শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির মুক্তি ও সমসাময়িক রাজনীতি প্রসঙ্গে গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি (এনপিপি)।
সরকারকে পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে তুলনা করে ফখরুল বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকার জন্য পাক হানাদার বাহিনীর যে কাজগুলো করেছে এরাও একই কাজ করছে। আমাদের স্বাধীনতার প্রধান দাবি ছিল অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। সেই সময়ে পাকিস্তান আমাদেরকে শাসন করেছিল, বঞ্চিত করেছিল, শোষণ করেছিল। এর প্রতিবাদে এই অঞ্চলের মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছিল। সেই সময় পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর জোর করে আজকের সরকারের মতোই ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করেছিল। পাক হানাদার বাহিনীর সাথে এদের পার্থক্যটা কোথায় তা আমি ঠিক বুঝতে পারি না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত ১০ বছরে আমাদের পাঁচ শতাধিকের বেশি নেতাকর্মী গুম হয়েছে। কয়েক হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। ২৬ লক্ষ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এক লক্ষের বেশি মামলা করা হয়েছে। একটি রাজনৈতিক দলকে এত ত্যাগ স্বীকার করতে হয় তা আমার জানা নেই। তারপরও আমরা সংগ্রাম করছি, লড়াই করছি।’
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা মানুষের দেয়ালের লেখা পড়ুন। জনগণের চোখের ভাষা বুঝুন। মানুষের ভাষা বুঝুন। শাসকরা যদি তা বুঝতো তাহলে তারা (সরকার) এত অমানুষ হতো না।’
এনপিপি’র চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস-প্রেসিডেন্ট নিতাই রায় চৌধুরী, জাতীয় পার্টির একাংশের প্রধান মোস্তফা জামান হায়দার, খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বাংলাদেশ লেবার পার্টির সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিকল্পধারার একাংশের প্রধান ড. নুরুল আমিন ব্যাপারী প্রমুখ।