এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ৮ টার দিকে আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আয়েন উদ্দিন ও তার ভাগিনা মজিবর রহমান এলাকার মোনারুল ইসলাম এর চায়ের স্টলে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজকর্মের আলাপ আলাপ আলোচনা করার সময় জামাত সর্মথিত তাদের কথা শুনতে পেয়ে প্রতি হিংসায় তাকে ও তার ভাগিনা মজিবর রহমান কে নানা অন্যায় অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করিতে থাকে।
গালিগালাজ করার কারণ জানতে চাইলে ওহাদের হুকুমে সকল আসামীরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও মারমুখি আচরণ করে। এক পর্যায়ে ১নং আসামীর হুকুমে ৮নং আসামী শামসুল আলমের হাতে থাকা লােহার রড দিয়ে আয়েন উদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় স্বজরে আঘাত করলে তিনি গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হন।
২নং আসামী জুয়েল তাকে ধারালো হাসুয়া দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করিলে তিনি বাম হাত দিয়ে আটকানাের চেষ্টা করিলে উক্ত আঘাতে তার বাম হাতের কোনি আঙ্গুল ভাঙ্গা কাটাসহ গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হয়। ৫ নং আসামী বেলাল তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দুই হাতে দিয়ে স্বজরে গলাচাপিয়া ধরিয়া শ্বাসরোধ করে। ডাক চিৎকারে তার স্ত্রী পরিবানু বেগম আগাইয়া আসিলে ১০ নং আসামী শফিকুল ইসলাম তার স্ত্রীর পরনের কাপড় টানিয়া ছিড়িয়া বিবস্ত্র করিয়া শ্রীলতাহানির চেষ্টা করে।
এসময় তারা ডাক চিৎকার করায় উপরোক্ত সকল আসামীগনরা হাতে লাঠি সােঠা লইয়া এলোপাথাড়ি ভাবে মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছেলা ফোলা জখম করে। তাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিয়া সকল আসামীদের কবল হইতে প্রাণে রক্ষা করিলে সকল আসামীরা তাদের পরিবারের লোকজনদের প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে উক্ত ঘটনাস্থল হতে চলে যায়।
আশপাশের লোকজন তাদের বাড়িতে নিয়ে গেলে আসামীরা তাদের চিকিৎসার জন্য বাড়ির বাহির হইতে দিবে না বলে তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে বড়ি ঘর ভাংচুর করে। পরে মোহনপুর থানা পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি জন্যে পাঠায়।
ভুক্তভোগী আয়েন উদ্দিন বলেন, আমি সরকারের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলি তা এলাকার জামাত-শিবির পন্থি লোকজনরা সহ্য করতে পারেনা। বর্তমান চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান কুট-কৌশলে ওই ব্যক্তিদের দিয়ে আমার ক্ষতি করার চেষ্ঠা করে। এবার তারা পরিকল্পিত ভাবে আমাকে হত্যা করতে এ হামলা চালিয়েছে। আমি আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এলাকাবাসিরা বলেন, আয়েন উদ্দিন সর্বদা সরকারে পক্ষে কথা বলেন ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করে থাকেন। তাই কিছু দুষ্কৃতিকারীরা তাকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্ঠা চালাই। এমন ঘটনা এলাকায় তারা প্রায় ঘটিয়ে আতষ্ক সৃষ্টি করে শান্তি নষ্ট করে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই, এলাকায় শান্তি শৃংখলা বিরাজ করে এমনটা চাই।
মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনাটির তদন্ত চলছে, আজ সকালে এজাহারের সকল আসামী আত্মসমর্পনের জন্যে থানায় আসিলে তাদের গ্রেপ্তার করে রাজশাহীর বিজ্ঞ আদালতে মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন প্রেরণ করা হয়েছে।