যুক্তরাজ্যে একদিনে রেকর্ড ৫৬৩ জনের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনা ভাইরাসে দিনদিন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে যুক্তরাজ্য। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ৫৬৯ জন। যা দেশটিতে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ নিয়ে সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯২১ জন।

যুক্তরাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৭১৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ২৪৪ জন। সুস্থ হয়েছে বাড়ি ফিরেছেন মাত্র ১৩৫ জন।

এছাড়া বর্তমানে যুক্তরাজ্যে ৩০ হাজার ৬৬২ জন আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩০ হাজার ৪৯৯ জনের অবস্থা সাধারণ। বাকি ১৬৩ জনের অবস্থা গুরুতর, যাদের অধিকাংশই আইসিউতে রয়েছেন।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, দেশটির রাজপরিবারের পরবর্তী উত্তরাধিকার প্রিন্স চার্লস, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, উপ-স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও প্রধান স্বাস্থ্যকর্মকর্তা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসে পুরো বিশ্ব নিরব, নিস্তব্ধ। বিশ্ব গ্রাম ধারণায় যেখানে রাত-দিনের পার্থক্য করাই দুষ্কর ছিল। সেখানে সমগ্র বিশ্বই ঘরবন্দী। চারদিক শুনশান, জনশূন্য। যেন পৃথিবী আজ এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। বিশ্বাস করা কষ্টসাধ্য হলেও বিশ্বজুড়ে করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৯৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা এ যাবৎ একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৩ হাজার ১৬৬।

এই ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯ হাজার ৭৪৭ জন। এটিও একদিনে আক্রান্তের সংখ্যায় সর্বোচ্চ। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ১৫ হাজার ৫৯ জন। এর মধ্যে ২ লাখ ১২ হাজার ১৮ জন সুস্থ হয়েছে বাড়ি ফিরেছেন।

এছাড়া বিশ্বজুড়ে বর্তমানে ৭ লাখ ৪৯ হাজার ৮৫৭ জন আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭ লাখ ১২ হাজার ১৬১ জনের অবস্থা সাধারণ। ৩৭ হাজার ৬৯৬ জনের অবস্থা গুরুতর, যাদের অধিকাংশই আইসিউতে রয়েছেন।

এদিকে করোনা ভাইরাসে বিপর্যস্ত ইতালিতে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১৩ হাজার ৯১৫ জন। স্পেনে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ৩৪৮ জন। যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৭০ জনের। ফ্রান্সে ৫ হাজার ৩৮৭ জন। চীনে ৩ হাজার ৩১৮ জন। ইরানে ৩ হাজার ১৬০ জন। যুক্তরাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ২ হাজার ৯২১ জনে দাঁড়িয়েছে।

এ রোগের কোনো উপসর্গ যেমন জ্বর, গলা ব্যথা, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট, শ্বাসকষ্টের সঙ্গে কাশি দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। জনবহুল স্থানে চলাফেরার সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। বাড়িঘর পরিষ্কার রাখতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে এবং খাবার আগে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। খাবার ভালোভাবে সিদ্ধ করে খেতে হবে।

Comments (০)
Add Comment