যেভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় আবরারকে (ভিডিও)

বিডি সংবাদ টোয়েন্টিফোর ডটকম: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যায় সরাসরি অংশ নেয় ১১ জন। বাকি ১৪ জন হত্যাকাণ্ডে বিভিন্ন পর্যায়ে জড়িত ছিল। এ হত্যাকাণ্ডে ২৫ জন আসামির মধ্যে ৪ জন পলাতক রয়েছে। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ৩ জন এবং ডিবি পুলিশের তদন্তে হত্যায় জড়িত আরও ৬ জনের মধ্যে একজন পলাতক রয়েছে।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘আবরার হত্যায় সরাসরি অংশ নেয় ১১ জন। বাকি ১৪ জন হত্যাকাণ্ডে বিভিন্ন পর্যায়ে জড়িত ছিল। মোট ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আমরা আদালতে চার্জশিট দিচ্ছি। এজাহারভুক্ত ১৯ জন এবং এর বাইরে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আরও ৬ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জন এবং এজাহারবহির্ভূত ৬ জনের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া পলাতক রয়েছে চার জন। এর মধ্যে তিন জন এজাহারভুক্ত ও একজন এজাহারবহির্ভূত।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘একক কোনও কারণে আবরার হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। হত্যাকারীরা বুয়েটের ছাত্র হলেও র‌্যাগিং করত এবং উচ্ছৃঙ্খল হয়ে উঠেছিল। ছোটখাটো বিষয়েও কেউ দ্বিমত করলে, তাদের সালাম না দিলে, সমীহ করে না চললে এমনকি অকারণে হাসি-ঠাট্টা করলেও তারা সেই ছাত্রদের ভীত-সন্ত্রস্ত করে রাখত। নানা কারণে বহুদিন থেকে এদের উচ্ছৃঙ্খলতা চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটে আবরার হত্যার মধ্য দিয়ে। তারা কথিত শিক্ষা দেওয়ার নাম করে একজনের ওপর অত্যাচার করে। তারা মনে করে, একজনকে শায়েস্তা করতে পারলে বাকিরা এমনিতেই সোজা হয়ে চলবে। এজন্য অনেককে মাঝেমধ্যেই মারপিট করতো।’

আলোচিত এই মামলায় এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা ও এ এস এম নাজমুস সাদাত।

এজাহার বহির্ভূত ৫ জন হলেন- ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও এস এম মাহমুদ সেতু।

গত ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরে বাংলা হলের একটি কক্ষে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতনে মারা যান বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। তিনি শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।

ভিডিও দেখুন

Comments (০)
Add Comment