অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, এ মানুষটির কারণে এক সময়ের অবিভক্ত বাংলার উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠান রাজশাহী কলেজ পরপর চারবার বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষাসহ সবদিক দিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে কারণে ঝকঝকে তকতকে ক্যাম্পাসে ছাত্রদের মাঝে হানাহানি কিংবা বিদ্বেষ নেই। এ মানুষটির কারণে এখানকার ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে ভাই-বোনের পবিত্র সর্ম্পক বিদ্যমান। সেই মানুষটি যখন তার শেষ কর্মদিবস পালন করে এবং তাকে নিয়ে তার সহকর্মীরা অন্তর থেকে কিছু কথা বলে; সেই মানুষটির সর্ম্পকে যতই বলা যাক তা কম হবে।
মেয়র বলেন, আমরা রাজশাহী কলেজে আরো কিছু বছর তাকে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে আমরা বাধা পেয়েছি। কেননা এমনটা হলে এটা কেই সারা বাংলাদেশে দৃষ্টান্ত হিসেবে দাঁড় করানো হবে। তবে আমি নিশ্চিত এমন একটা কর্মবীর মানুষকে বসিয়ে রাখা যাবে না। সুতরাং তাকে সম্মান জানিয়ে তার মেধাকে দেশের জন্য কাজে লাগাতে হবে। কেননা তিনি দেশকে ভালোবাসেন তিনি দেশকে কিছু দিতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী কলেজ উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্যে রাখেন, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. তানভীরুল হক, শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. জুবাইদা আয়েশা সিদ্দীকা, রাজশাহী কলেজ বাংলা বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. গোলাম কবীর, মাউশির সাবেক পরিচালক প্রফেসর ড. ইলিয়াস হোসেন, বিদেয়ী অধ্যক্ষ পতœী সাবিনা ইয়াসমিন প্রমুখ।
তিনি বলেন, কলেজের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যেমন শাসন করেছি, তেমনি অন্তর থেকে ভালোবেসেছি। তাদের সঙ্গে আমার যে বন্ধন তা কখনো ছিঁড়বে না। এরমধ্যে দিয়েই কলেজের অন্য রকম পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি আমি চলে গেলেও এ কলেজের পরিবেশ এমনই থাকবে। রাজশাহী কলেজ আমার প্রাণ।
এরআগে সকালে অধ্যক্ষকে গার্ড অব ওনার প্রদান করে, রাজশাহী কলেজ বিএনসিসি ইউনিট ও রোভার স্কাউট। অনুষ্ঠানের শুরুতে রাজশাহী কলেজের সহশিক্ষা সংগঠনসহ বিভাগগুলো ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। বেলা ১১ টার দিকে প্রামাণ্যচিত্র ও ডকুমেন্টরি প্রদর্শণ করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বের শেষে প্রজন্মের প্রথিকৃৎ অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।