রাজশাহী সড়ক ও জনপথ এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন- রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল ও রাজশাহী সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল জানান, একমাস আগে এই সড়কের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়েছিল। এছাড়া একাধিকবার বিষয়টি জানিয়ে মাইকিং করা হয়। এরপরও যারা এই সড়কের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নি আজ তাদের সেইসব স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আজ থেকে তিন দিন (২৬, ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর) এই সড়কের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য অভিযান চলবে বলেও জানান তিনি।
অভিযানে থাকা রাজশাহী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শামসুজ্জোহা বলেন, মহানগরীর শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান চত্বর থেকে নওহাটা ব্রিজ পর্যন্ত চার লেন সড়ক নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এই সড়ক নির্মাণের ফলে মহানগরবাসী কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবে প্রশ্নে শামসুজ্জোহা বলেন, যেকোনো বিস্তৃত পরিসরের সড়ক নির্মাণ করা হলে তা মহানগরীর মুভমেন্ট বাড়িয়ে দেয়। সড়ককে কেন্দ্র করে কমার্শিয়াল অ্যাকটিভিটি (বাণিজ্যিক কর্মপরিধি) বেড়ে যায়। বড় বড় ভবন নির্মিত হয়। দোকানপাট তৈরি হয়। এছাড়া মূল বিষয় হচ্ছে মহানগরীর ওপর যানবাহনের চাপ কমবে।
এদিকে, রাজশাহী সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, একনেক অনুমোদিত এই সড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণের পর বর্তমানের ৩০ ফুট প্রশস্ত এই রাস্তাটি ৮০ ফুটে উন্নীত করা হবে। রাস্তার দুই পাশে ডিভাইডারসহ ১০ ফুট চওড়া ফুটপাত ও রাস্তার দক্ষিণ পাশে সাড়ে সাত ফুট ড্রেন করা হবে।