রাজশাহীর আড়ানীতে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে পারাপার হচ্ছে ৩০ টি ট্রেন

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী-ঢাকা-খুলনা-সৈয়দপুর রেলপথে রাজশাহীর আড়ানী বড়াল নদীর উপর ব্রিটিশ আমলে নির্মিত সেতুটি বয়সের ভারে দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন ১৪ টি যাত্রীবাহী ট্রেন এবং ২ থেকে ৩ টি মালবাহী ট্রেন যাতায়ত করে। রেল কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। ইতিপূর্বে দুই বার রেল লাইন ভেঙ্গে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী জেলার চারঘাট ও বাঘা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় বড়াল নদীর উপর ১৯২৭ সালে এই রেল সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। রেলওয়ে সেতু নং ১৪। এই সেতুতে ২৭৩ টি উইডেন স্লিপার রয়েছে। রাজশাহী-ঢাকা-খুলনা-সৈয়দপুর রুটে রেলপথে হাজারো যাত্রী চলাচল করে। বর্তমানে সেই সেতুটিতে স্লিপার ভাঙ্গা, ফাঁটা অবস্থায় রয়েছে।

এছাড়া রেল লাইনের স্লিপারের উপর দুই ধারে ৪ টি করে ডপ পিন (লোজার পিন) লাগানোর নিয়ম থাকলেও কোথাও ১ টি, কোথাও ২ এবং কোথাও ৩ অথবা ৪ টি লাগানো রয়েছে। আবার কোথাও ডপ পিনের স্থানে কাঠের চলটা এবং পেরাক লাগানো রয়েছে। আবার কোথাও কোথাও সেই বাটাম ও বাঁশের চলটা ভেঙ্গে গেছে। যা অত্যান্ত ঝুকিপূর্ণ। ইতিপূর্বে দুই বার রেল লাইন ভেঙ্গে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঝুঁকিপূর্ণ রেল ব্রীজ দ্রুত সংস্কার না করলে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংঙ্কা করছে রেলযাত্রী ও এলাকাবাসী।

আড়ানী রেলগেট কিপার লায়েব উদ্দিন জানান, রেল সেতুর সমস্যা গুলোর কথা আমরা স্যার দের জানিয়েছি তারা ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।

তবে এ বিষয়ে রবিবার সকালে পশ্চিমঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক কে মন্তব্য নেওয়ার জন্য ফোন দেওয়ার পর সেই রেল সেতুতে মেরামতের লোক লাগানো হয় বলে জানা যায়।
পশ্চিমঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী আসাদুল হক জানান, আমি রেল লাইন পরিদর্শন করেছি। আজ থেকেই সেতু মেরামতের লোক লেগেছে। তারা কাজ করছে।

এ ব্যাপারে পশ্চিমঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসিম কুমার তালুকদার জানান, রেল সেতু দেখার দায়িত্ব প্রধান প্রকৌশলীর তার সাথে কথা বলেন। ডপপিন কয়টা থাকবে সেটা নির্ভর করবে সেতুর দৈর্ঘর উপর। আর সেতুতে বাঁশের বাতাও লাগানো থাকতে পারে এই টা দোষের কিছু না।

Comments (০)
Add Comment