রাজশাহী-ঢাকা মাহসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রুট পারমিট বিহীন হিউম্যান হলার

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী জেলা হিউম্যান হলার মালিক সমিতির স্টিকার লাগিয়ে রুট পারমিট, রেজিষ্টেশন নম্বার প্লেট, শো-রুমের বৈধ্য কাগজপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে দাপটের সাথে চলছে হিউম্যান হলার (সিএনজি চালিত ইমা) গাড়ী। বিভিন্নস্থানে মাসিক গোপন চুক্তির মাধ্যমে চুক্তির মাধ্যমে নিবিগ্নে চলাচল করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে বিভিন্ন সময় দূঘর্টনার শিকার হয়ে ঘটছে প্রাণহনি। এসব যানবাহনের বেশির ভাগ ত্রুটিপূর্ণ ও চালকদের অনেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক। যা দেখার কেউ নাই।

জানা গেছে, মোটরযান আইন অমান্য করে রাজশাহী নগরীর কোর্ট বাজার থেকে বানেশ্বর বাজার পর্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ হিউম্যান হলার (ইমা) চলাচল করছে। মোটরযান আইনের ১৫১ ধারামতে, যানবাহনের আকার ও রং বা যেকোনো ধরনের পরিবর্তন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ অপরাধে ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা দুই বছরের কারাদন্ড অথবা উভয় ধরনের শাস্তির বিধান আছে। আর ১৪৯ ধারা অনুযায়ী ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন চালানো অপরাধ। এ ধারায় অপরাধীকে এক মাসের কারাদন্ড বা ২৫০ টাকা জরিমানা করা যেতে পারে।

নাম না প্রকাশের শর্তে হিউম্যান হলারের মালিক ও চালক জানান, রাজশাহী মহানগরীর মধ্যে কোট বাজার থেকে বানেশ্বর পর্যন্ত প্রায় ৫০টি হিউম্যান হলার (সিএনজি চালিত ইমা) গাড়ী চলাচল করে। এগুলো কোট বাজারে ৩ জন মাষ্টার রয়েছে তাদেরকে ৩০ টাকা, সাহেব বাজারে ৩ জন মাষ্টার রয়েছে তাদেরকে ৩০ টাকা, তালাইমাড়ীতে ২ জন মাষ্টার রয়েছে তাদেরকে ১০ টাকা, কাটাখালী ১ জন মাষ্টার রয়েছে তাদেরকে ১৫ টাকা, বেলপুকুরিয়া ২ জন মাষ্টার রয়েছে তাদেরকে ১০ টাকা, বানেশ্বর ৩ জন মাষ্টার রয়েছে তাদেরকে ৩০ টাকা দিতে হয় প্রতিদিন। ৬টি স্থানে ১৪ জন মাষ্টার কাজ করে। এতে প্রতিদিন ১২৫ টাকা করে দিতে হয়। এছাড়া সমিতিকে প্রতিমাসে ২০০ টাকা দিতে হয়। আর সমিতির সদস্য হতে গেলে ১৫ হাজার টাকা থেকে শুরু চুক্তির মাধ্যমে ইচ্ছে মত টাকা আদায় করা হয়।

হিউম্যান হলার (সিএনজি চালিত ইমা) গাড়ীর মালিক নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, রাজশাহী কোর্ট থেকে বানেশ্বর পর্যন্ত প্রতিদিন ২ থেকে ৩ টি টিপ হয়। এর জন্য ৬টি স্থানে মাষ্টারের খরচ বাবদ ১২৫ টাকা দিতে হয়। মালিক সমিতিতে প্রতি মাসে ২০০ টাকা জমা দিতে হয়। এছাড়া হরতাল, নির্বাচন ইত্যাদি কাজে যখন যতটি গাড়ী প্রয়োজন প্রশাসন নেন। এছাড়াও বিভিন্ন থানায় প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ টি গাড়ী ব্যবহার করে। এতে গাড়ীর তেল খরচ বাবদ ৯ লিটার তেল ছাড়া কিছুই দেন না। তাও একটি গাড়ি থানার কাজে ব্যবহার হলে সেই দিন সকাল থেকে পরেরদিন বিকেল পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়।

রাজশাহী জেলা হিউম্যান হলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাতেন বাবু জানান, আমরা পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলি। আমরা তাদেরকে গাড়ি দিয়ে অনুরোধ করে হাত ধরে আমরা চলি।

রাজশাহীর বিআরটিএ সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) মোঃ আব্দুল খালেক জানান, হিউম্যান হলার গাড়ীর মেট্রোর বাহিরে চলার নিয়ম নাই। আর এই গাড়ীগুলোর সব গাড়ী রেজিঃ নাই। তবে কয়েকটি গাড়ীর রেজিষ্টেশন আছে।
ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবহন) মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করি। যাদের কাগজপত্র নাই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

আরএমপি ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সাইদুর রহমান জানান, এই গাড়ীগুলো অনেক আগে থেকে চলে। মোবাইলে সব তথ্য বলতে পারবো না। অফিসে আসেন এসে তথ্য নিয়ে যান।

Comments (০)
Add Comment