কিন্তু বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক আতাউর রহমান ৪১৪ নম্বর কক্ষের পরিবর্তে বিভাগীয় সভাপতির কক্ষে পরীক্ষা কমিটির সভাটি করাতে চান। আমি পরীক্ষা কমিটির সভাপতিকে পূর্ব নির্ধারিত কক্ষে মিটিংটি করার কথা বললে বিভাগীয় সভাপতি ধমকের সাথে আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, পরীক্ষা কমিটির সভা আমার কক্ষে এবং আমার সামনেই হবে। আমি পরীক্ষা কমিটির সভাপতির সাথে কথা বলছি আপনার সাথে নয় এ কথা বললে, একপর্যায়ে তিনি আমার সাথে তুই-তুকারি, হুকমি-ধামকিসহ মারমুখী আচরণ করে আমার ডান হাতে উপর থেকে আঘাত করেন। তখন আমি হাতে থাকা চায়ের কাপসহ টেবিলে আঘাত প্রাপ্ত হয়।
ফলে আমার আঙ্গুল কেটে রক্ত ঝরতে থাকে। অভিযোগ পত্রে আরও বলা হয়, সভাপতির মতো দায়িত্বশীল পদে থেকে তাঁর এমন আচরণে আমি অত্যন্ত মর্মাহত এবং শংকিতও। বরাবরই তিনি শিক্ষকদের সাথে এমন অসদাচারণ করে আসছেন বলে তিনি দাবী করেন। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সভায় উপস্থিত থাকা পরীক্ষা কমিটির সদস্য ও উর্দু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মোকাররম হোসেন মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গতকাল সকালে আমার উপস্থিতিতে এমন ঘটনা ঘটেছে। বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আতাউর রহমান প্রতিনিয়তই সহকর্মীদের সাথে এমন অসদাচরণ করে আসছেন।
তিনি পরীক্ষা কমিটির সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও অযাচিতভাবে পরীক্ষা কমিটির সভায় উপস্থিত হয়ে ড. মো. সামিউল ইসলামের সাথে যে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন, তা একজন সহকর্মীর কাছ থেকে মোটেও কাম্য নয় । অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উর্দু বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আতাউর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। তবে গতকাল এম.এ পরীক্ষা কমিটির একটি মিটিং ছিল।
কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. হোছাইন আহমদ কামালী আমার কার্যালয়ে মিটিংটি করার জন্য আবেদন করেন। আমি মিটিং করতে দিয়ে বাহিরে চলে যাচ্ছি বললে এটা নিয়ে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে ড. মো. সামিউল ইসলাম নিজের হাতে থাকা চায়ের কাপ-পিরিচ টেবিলে স্বজোরে আঘাত করেন। এতে কাপ-পিরিচ ভেঙ্গে তার হাত কেটে যায়। আমার আঘাতে তার হাত কাটেনি বরং আমাকে আক্রমণ করতে গিয়ে নিজে নিজেই আঘাত পেয়েছেন।