রাসিক নির্বাচনে ১৫৫ ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১৪৮ ঝুঁকিপূর্ণ

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী সিটি করর্পোরেশন নির্বাচনে ৩০টি ওয়ার্ডের ১৫৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১৪৮টি ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার বিকেলে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র মোঃ রফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

রাজশাহী অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান, ২১ জুন বুধবার রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবার নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ জন ও কাউন্সিলর পদে ১১১ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন মোট ১৬১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। ইতিমধ্যে একটি ওয়ার্ডে কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছে একজন প্রার্থী।

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এলাকায় কমিশনের পক্ষ থেকে সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এবারই প্রথম রাজশাহী সিটি নির্বাচনে ইভিএমে ভোট-গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সব কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ চলছে। রাজশাহীতে এবার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেবেন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন ও হিজরা ভোটার ৬ জন। এবার ১৫৫টি ভোট কেন্দ্রের ১ হাজার ১৫৩ টি কক্ষে ১ হাজার ১৫৩টি কক্ষে ইভিএমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নাশকতার চেষ্টা করলে কঠোর হাতে দমন করা হবে। ২ জুন প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রচার-প্রচারণায় নামেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা।

জানাযায়, এবার নির্বাচনে বিএনপি ছাড়াই ৪ জন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। ইতিমধ্যেই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এবং জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন এর মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

তাই কয়েক ঘন্টা শেষ প্রচারণা চালান প্রার্থীরা। রাজশাহী সিটির বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালান মেয়র, কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। একই সময় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গণ সংযোগ করেন এবং ভোটারদের মন জয়ে দেন নানান প্রতিশ্রুতি। তবে শেষ সময়েও একে অন্যের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করছেন প্রার্থীরা। দিনভর প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে জয়ের আশাবাদী তারাও। তবে এলাকার উন্নয়নে ভোটারদের শোনাচ্ছেন প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি।

এ ব্যাপারে রাজশাহী অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার হোসেন, রাজশাহী সিটির ৩০টি ওয়ার্ডে আনছার, পুলিশ, র‌্যাব সদস্য সহ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মাঠে থাকবেন। এছাড়া ৩০ টি ওয়ার্ডে ৩০ জন ম্যাজিষ্ট্র্যোট নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়া ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্র্যোট পর্যবেক্ষণ করবেন। এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেনি। কেউ অভিযোগ করেলে তার যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments (০)
Add Comment