বাজে সড়কের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এলাকার স্কুলের ছেলেমেয়েরা এবং গ্রামবাসীদের মতে তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্কুলেও যায় না। রাজনৈতিক প্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের জানানো সত্ত্বেও তারা কেউই সমস্যার সমাধান দেননি। গ্রামবাসীদের মতে, রাস্তা নির্মাণ নিয়ে রাজনীতিবিদদের দুই দলের মধ্যে বিরোধ চলছে। গত কয়েক বছরে প্রায় পাঁচবার এ নির্মাণকাজ শুরু হলেও এখনো শেষ করতে পারেনি ঠিকাদাররা।
এছাড়া, গ্রাম সমিতির প্রধান নয়না রাসাদারি জানান, “গত নির্বাচনের মৌসুমে এই কাজ শুরু হয়েছে। আড়াই বছর হয়ে গেছে। সাবেক সরকারের একজন সদস্য এই নির্মাণে বাধা দিচ্ছেন। আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি এই সড়ক নির্মাণের বাধার সমাধানের জন্য।“
গ্রামের অধিবাসী জনৈক সিসিরা কাহাদাওয়ালা এ কাজ তাড়াতাড়ি শেষ করতে তাড়া দিয়েছেন, “প্রায় ৫-৬ বার এই রাস্তার নির্মাণ অর্ধেকে এসে থেমে গেছে। আজ পর্যন্ত কাজ শেষ হয়নি। যেভাবেই হোক, শীঘ্রই এই নির্মাণকাজ শেষ করুন।“ এদিকে, গ্রামবাসীরা বলছেন, এখন পর্যন্ত যেসব রাস্তা নির্মাণ শেষ হয়েছে সেগুলো মানহীন।
তারা জানান, ভাল ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় পানির প্রবাহ সৃষ্টি হচ্ছে না ফলে জমে যাওয়া পানি থেকে ডেঙ্গু মশা ছড়াচ্ছে এবং বর্তমানে গ্রামের কয়েকজন এ রোগে আক্রান্ত। গ্রাম ইউনিয়নের ইন্দ্রাণী গুণবর্ধন বলেন, “পানি প্রবাহের জন্য ড্রেন নির্মাণ যথাযথভাবে করা হয়নি। এসব ড্রেন থেকে ডেঙ্গু মশা ছড়াচ্ছে।“
গ্রামবাসীরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন কারণ তাদের অনুরোধ বছরের পর বছর ধরে উপেক্ষা করা হচ্ছে যেখানে মহাসড়ক সহ অন্যান্য প্রধান সড়ক ঠিকই নির্মাণ করা হয়েছে।