গ্রামগুলো হচ্ছে-দক্ষিন আলগারচর-উত্তর আলগারচর- লাঠিয়াল ডাঙ্গা- চর লাঠিয়াল ডাঙ্গা- বাগানবাড়ী- বালিয়ামারী- নয়াপাড়া। এই অঞ্চলের মানুষের জিঞ্জিরাম নদীর উপর দিয়ে পারাপারের একমাত্র মাধ্যম বাঁশের সাঁকো। এলাকাটি উপজেলা শহর হতে প্রায় ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তঘেষা এলাকা। উপজেলা শহর থেকে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী ১০টি গ্রামের দূরুত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার।
এলাকার ৫০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে প্রতিবছর ১০ গ্রামের মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে নিজস্ব অর্থায়নে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে যাতায়াত করে থাকে। প্রতিনিয়ত কোমলমতি স্কুল-কলেজের শির্ক্ষাথীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কখনো বাঁশের সাঁকো,আবার কখনো নৌকা, আবার কলাগাছের ভেলায় ও নানা উপায়ে নদী পারাপার হয়ে থাকে। এমনকি যোগাযোগ সড়কের অবস্থা ভালো না থাকার কারনে ওই অঞ্চলের কৃষকরা ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না।
এ বিষয় সীমান্তঘেষা গ্রামের আলহাজ্ব আব্বাস আলী (১১০,) ছাত্তার দেওয়ানী (১১৭,) আলহাজ হাছেন আলী (৯০), মুক্তিযোদ্ধা আজিম উদ্দিন (৮৫), বানেছা খাতুন (৮০), তোফাজ্জল হক, পাহারতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা আছিয়া খাতুন (৫৫), আবদুল মজিদ (৬৬), লাল চাঁন (৫৫)সহ আরো অনেকেই জানান, দেশ স্বাধীনের ৫২ বছর অতিবাহিত হলেও উন্নয়ন কি জিনিস দেখতে পারলাম না। কিন্তু আমাদের এ অঞ্চলে একটি ব্রিজের দাবিতে বারবার আকুতি জানালেও তা কোনো কাজে আসেনি।
এ ব্যাপারে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম,সরোয়ার রাব্বী বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি।
এ নিয়ে উপজেলা সমন্বয় সভায় আলোচনা করা হবে এবং জনগণের স্বার্থে দূরুত¦ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিষয় রৌমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমান আলী ইমন বলেন,সীমান্তঘেষা ১০ গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ যেভাবে জীবনের ঝুকি নিয়ে পারাপার হয়ে থাকে এটি এযোগের জন্য প্রযোজ্য নয়। আমি সরকার মহোদয়ের কাছে একটি ব্রীজ বাস্তবায়নের জন্য সুদৃষ্টি কামনা করছি।