স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, কাশিয়াবাড়ী গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে লাল বাবু(৩৫) উত্তর লালকুড়া গ্রামের জিঞ্জিরাম নদীর খেয়া ঘাট পাড়াপারের সময় ওই গ্রামের জয়নুদ্দিনের ছেলে নয়নকে অনুরোধ করেন। এ সময় ৮ বছরের একটি শিশু বাচ্চা জুয়েল নামে ঝাল মুড়ি খাওয়ার বায়না ধরে। এসময় জুয়েলের বাবা সামিজ উদ্দিন বাচ্চার চাওয়াপাওয়া ঝাল মুড়ি কিনে দেওয়ার জন্য নদী পাড় হতে একটু সময় অপেক্ষা করতে বললে লাল বাবু নামে ঝাল মুড়ি পরে আমাকে আগে পার করে দে নইলে খবর খারাপ হবে। অথচ ঝাল মুড়ির দোকানটা নৌকা ঘাটের সাথেই লাগুয়া মাত্র ৫ মিনিট এর ব্যাপার এটুকু সময় লাল বাবুর সজ্জ করার সময় ছিলোনা।
পরে জুয়েল এর বাবার সঙ্গে তর্কে জরিয়ে পরে। বাচ্চার ঝাল মুড়ি খাওয়ার অপরাধে নৌকার প্যাসেঞ্জার লাল বাবু ওই ঝাল মুড়ি খেতে চাওয়া বাচ্চাটাকে এরোপাতারি চর থাপ্পর মারতে থাখে। এসময় বাচ্চারটি বাবা সামিজ উদ্দিন আমার ছেলেকে মারছেন কেন। একথা বলার সাথে লাল বাবু বাচ্চার বাবাকেও এলোপাতারি কিলঘুষী মারতে থাকে। ঘাটের আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তাদের সাথেও একই শক্তি প্রয়োগ করলে ওইটাকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। পরে লাল বাবু তার আত্ময়ী সুজনদের খবর দেয়। তার আত্ময়ী সুজনরা দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে ঘাটের উপরে সুলতান মাহমুদ নামের বাড়িতে গিয়ে ঘরে ঢুকে এলোপাতারিভাবে কুপিয়ে কয়েকজনকে আহত করে।
সুলতানের চিৎকারে গ্রামবাসীরা এগিয়ে আসলে লাল বাবু বাহিনীর লোকজন পালিয়ে গেলেও লাল বাবু জনতার হাতে আটক হয়। লাল বাবুর মারামারির খবর ছড়িয়ে পড়লে লালবাবু ু‘গ্রুপের জেলালের ছেলে নজরুল, শহরের ছেলে নাজির, নয়ন ও নাজমুলসহ ১০/১২জনের ডাঙ্গা বাহিনীর একটি টিম এসে তারা বাড়িতে হামলাদেয় এবং এলোপাতারি মারপিট করে। এতে গ্রামবাসির মধ্য আতংঙ্ক সৃষ্টি হয়। করে ঘরে থাকা ৭ লাখ টাকা এবং ৪ ভরি স¦র্ণে গহনা বাক্সের তালা ভেঙ্গে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতরা হলেন ঝাল মুড়ি খাওয়া জুয়েল বাচ্চা ু‘গ্রুপের হাফিজের ছেলে সুলতান, গফুর ও আনারুল,মোছাঃ বিউটি-রুবিনা,লাইলি,রুকসানাসহ আরো অনেকেই,আহতবস্থায় রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। একজনকে ময়মনসিংহে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছে। পরে খবর পেয়ে রৌমারী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ রুপ কুমার সরকার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।