রৌমারী ও রাজিবপুরের কৃষকরা কমর পানিতে নেমে পাট কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:  পাট চাষি কৃষকরা কমর পানিতে নেমেই পাট কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজিবপুর অঞ্চলের চাষিরা। পানি যতই কমছে ততোই কিন্তু  জেগে উঠার দৃশ্য দেখা গেছে কৃষকের মরা পচা ফসলের মাঠ। পানি কমার সাথে পাল্লা দিয়ে পাট মারা যাওয়ার দৃশ্য অবাক চোখে তাকিয়ে দেখে দিশাহারা হয়ে পড়েছে পাট চাষিরা। দুই উপজেলার কৃষির উপর নির্ভরশীল কৃষকরা বুক ভরা আসা নিয়ে দিগন্ত জুড়েই সোনালী রংয়ের পাট চাষ করেছিলেন।
তাঁরই মাঝে উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় পাহাড়ী ঢলের পানির, ছোবলে তলিয়ে যায় স্বপ্নের ফসল। ঢলের পানিতে তলিয়ে নিম্মজিত হয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত  কুড়িগ্রাম জেলার সীমান্ত ঘেঁষা  রৌমারী ও রাজিবপুরের চাষিরা ।ঢলের পানিতে বেশ কয়েকদিন তলিয়ে পাটের উপর দিয়েও পানি প্রবাহিত হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে ।
 দিগন্ত জুড়ে মারা পড়েছে  কষ্টে ফলানো পাটের ফসল সরেজমিনে গিয়ে কৃষকদের পাট কাটার করুন দৃশ্য।  ক্ষেতের পাট অর্ধেকের বেশি কিন্তু মারা গেছে তারপরও অনেক কষ্ট করে একটা একটা করে টুকিয়ে টুকিয়ে কেটে পচানোর চেষ্টা করছেন।
অপরদিকে এবার কিন্তু সারাদেশেই পাট চাষীদের পাট এভাবেই বন্যার পানিতে নষ্টের  ঘটনা ঘটেছে।
 তবে এ মৌসুমে পাটের চাহিদা অনুযায়ী পাট সংগ্রহ করতে পারবেনা পাট কল মালিকরা।  কারণ যেভাবে কৃষকরা বকু ভরা আসা নিয়ে পাট চাষ করেছিলেন তা কিন্তু বন্যার করাল গ্রাসে বিনষ্ট হয়েছে। যার ফলে মিলমালিকরা চাহিদার তুলনায় পাট সংগ্রহে হিমসিম খেতে হবে এমনটি ভাবছে ব্যাপারিরা।
এবিষয়ে কথা হয় পাট চাষি খবির, মোনাহার, সহর আলী,হাছেন আলীসহ আরও অনেকের সঙ্গে তারা সবাই কিন্তু অন্যান্য ফসলের চেয়ে  পাট চাষাবাদ করেন বেশি। পাট চাষি কৃষকরা জানিয়েছেন এবার বন্যা যদিও অন্যান্য বছরের তুলনায় কম হলেও ক্ষতিটা কিন্তু ভয়াবহ হয়েছে।
 কারণ যেসময় আমরা পাটের আগাছা পরিস্কারকরণে ব্যস্ত থাকি ঠিক ওই সময়ের মধ্যেই কিন্তু বন্যার পানি এসে পাট ক্ষেখে পানি ঢুকে পরে।  আবার নিচু জমিতে যেসব পাট ছিল ওইসব পাটের উপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হওয়ায় পাট মইরা গেছে। তারপর যেসব পাটের গলা পর্যন্ত পানি সেসব  জমির পানি যতই কমছে ততোই মারা যাইতাছে।  তাই এসময় কোন উপায় না দেখে কামলা নিয়ে টুকি টাকি করে একটা একটা করে তাজা পাট বাইচা বাইচা নিয়ে জাগে ফেলার চেষ্টা করতাছি।